বিভিন্ন দাবিতে আজও আন্দোলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকা কলেজের সামনে তারা মানববন্ধন করেন এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে ইডেন কলেজের সামনে হাজির হন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে একই দাবিতে গতকাল বুধবারও ঢাকা কলেজে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেছিল।
আন্দোলনকারী তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী তছলিম চৌধুরী জানান, গত ২১ তারিখ রোববার আমরা সাত কলেজের সমন্বয়ক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সই করা সাত কলেজের কিছু দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। আমাদের কল ও রেসপন্স করেননি, আমাদের দাবিগুলো দেখেননি। এরপর আমাদের এই রুম থেকে ওই রুমে পর্যায়ক্রমে পাঠিয়ে হয়রানি করেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এছাড়া আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এরই প্রতিবাদে আজ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছি।
শিক্ষার্থীদের দাবি—
# ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
# তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যদের মানোন্নয়নের মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
# দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
# সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
# সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কার কাছে, কোথায় তাদের সমস্যাগুলো উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দিতে হবে।
# একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
# শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, আমরা বার বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি, এজন্য দাবি জানাতে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। ইডেন কলেজে আমাদের সমম্বয়ক সুপ্রিয়া ম্যামের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি প্যানেলের দীর্ঘ সময় মিটিং হয়। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমাদের সাত দফা দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাবেন এবং আজই এই বিষয় নিয়ে আমাদের সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি মিটিং করবেন। আগামী রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত সিদ্ধান্ত আমাদের জানাবেন। আমাদের ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বড় ধরনের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।