ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় ৬০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলিম উদ্দিন খানকে (৭৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ছয় বছর পলাতক থাকার পর রোববার (৭ মে) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাঈদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. আলিম উদ্দিন খান গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার সাধুয়া গ্রামে মৃত আব্দুল গফুর খানের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে পাগলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আলিম উদ্দিন খান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকায় লিপ্ত ছিলেন। তিনি তার সশস্ত্র রাজাকার সহযোগী ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, সামসুজ্জামান কালাম, আব্দুল খালেক, বাদশা, খলিলুর রহমান মীরদের নেতৃত্ব দিয়ে গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারি, টাংগাব, দত্তেরবাজার ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে অংশগ্রহণ করে।
এসব ঘটনায় ২০১৪ সালের সাধুয়ার গ্রামে আফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে তার ও তার সহযোগীদের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার পর থেকে আলিম উদ্দিন খান পলাতক ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মো. আলিম উদ্দিন খানকে তিন মামলায় ২০ বছর করে সাজা দেন। অপর চারজনকে ২০ বছর এবং তিনজনকে আমৃত্য কারাদণ্ড দেন আদালত।
ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, তিন মামলায় ২০ বছর করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়।