দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় সাতক্ষীরায় দুদক সহকারী পরিচালকের ওপর ক্ষিপ্ত তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার। গেল ৯ ডিসেম্বর তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় তালা থানায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন দুদক কর্মকর্তা।
ভিডিওতে দেখা যায়, সনৎ কুমারকে বেশ উত্তেজিত দেখা যায়। দুদক খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনের উদ্দেশ্য তাকে বলতে শোনা যায়, ইয়ার্কি পেয়েছেন আপনারা? দেশটা কি কিনে নিয়েছেন, আপনারা দুদকের মাতব্বর হয়েছেন।
দুদক কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ নেতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন আমি কমিশনের নির্দেশে এসেছি। তখনও ক্ষিপ্ত ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, আমার উপজেলার কাজ করবেন আমি জানতে পারব না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এমন কাণ্ডে হতভম্ব হয়ে পড়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিনসহ উপস্থিত সবাই। তাকে থামানোর চেষ্টা করেন তালা থানার পরির্দশক তদন্ত এসএম সেলিম হোসেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন বলেন, অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত না দেওয়ায় তিনি একটু শোরগোল করেছেন।
তালা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অচিন্ত সাহা বলেন, কমিশন থেকে নির্দেশনা ছিল নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত না করতে। ব্যানারও কমিশন থেকে করে দেয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এসে প্রথমে আমার ওপর তারপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুদক সহকারী পরিচালকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
দুদকের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমন ব্যবহার করতে পারেন না। এছাড়া আমাকে দোষারোপ করছে আমি বিএনপি-জামায়াতের লোক ডেকে এনেছি। অনুষ্ঠান আয়োজন করল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এখানে আমি কি করলাম?
তিনি বলেন, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন। তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সনৎ কুমারকে বারবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।