মাগুরার চাঞ্চল্যকর নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে আছিয়ার আদি নিবাস শ্রীপুরের সোনাইকুন্ডী গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে তার মরদেহ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে মাগুরায় পৌঁছায়। এদিকে শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শিশু আছিয়ার প্রথম নামাজে জানাজা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জানাজায় বক্তব্য দেন— জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হেফাজত নেতা মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন ও মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। এ সময় শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন।
তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আসিয়ার মৃত্যুর খবরে শোকের মাতম দেখা যায়। এ সময় বাড়িতে প্রতিবেশী গ্রামবাসীসহ আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এদিকে শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, আসামিদের রিমান্ড চলছে। আসামিরা শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের হিটু শেখ (৪২), দুলাভাই সজীব শেখ (২২), তার বড় ভাই রাতুল শেখ ও রাতুলের মা জায়েদা খাতুন এখন পুলিশ হেফাজতে।
উল্লেখ্য, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীর ওই শিশু কয়েক দিন আগে আপন বোনের বাড়ি সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি মাঠপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। আসার পর থেকেই বোনের শ্বশুর হিটু শেখের কুনজরে পড়ে শিশুটি। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি ঘুমিয়ে পড়লে ভোররাতে কোনো এক সময় শিশুটির গলা চেপে ধর্ষণ করে।