শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার একটি গ্রামের পাটখেতে ওই কিশোরীকে দুই যুবক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। এদিকে শনিবার (১৭ মে) মাগুরায় আলোচিত শিশুধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কিশোরীর পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী কানে শোনে না ও কথাও বলতে পারে না। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় কিশোরীকে প্রায়ই বাড়িতে বেঁধে রাখা হতো। গত শুক্রবার দুপুরে তাকে ঘরে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির কাছেই একটি পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর মেয়েটির মা বুঝতে পারেন তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, যে দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের একজন মেয়েটির চাচাতো ভাই শাওন এবং অন্যজন প্রতিবেশী টিপু নামের আরেক যুবক।
রোববার ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তির পর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে রাতে এ ঘটনার বিচার চেয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বলেন, আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী, তার সঙ্গে এমন করছে। আমার আপন ভাইয়ের ছেলেও হলেও আমি এর বিচার চাই।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আয়ুব আলী বলেন, মামলার পরপরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের একজন ইতোমধ্যে আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে দুজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে।