তীব্র রুশ হামলার পর ইউক্রেনের নাগরিকরা এখন বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে কিয়েভ অঞ্চলে রাশিয়ার ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে সেখানকার শক্তি ও জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ওই সকল অবকাঠামো মেরামত করা হয়েছিল। এখন তীব্র ঠাণ্ডায় কাঁপছে কিয়েভসহ পুরো ইউক্রেন। সেখানের আজকের তাপামাত্রা মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ইউক্রেনের কিছু অংশের মানুষ তীব্র ঠাণ্ডা ও অন্ধকারে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ, সেখানকার জ্বালানি ও বিদুৎ সরবরাহ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরে এখাকারকার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে হামলার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও ভাষণে বলেছেন, রুশ হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। এ সময় ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। তাদের বেশিরভাগই (প্রায় ৬০টি) ভূ-পাতিত করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের অনেক অঞ্চলে জরুরি পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি ও বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ কারণে ওই সকল এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে। তবে এসব স্থানে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা সবকিছু করব।
দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো টেলিগ্রামে বলেছে, রুশ গোলাবর্ষণের কারণে ইউক্রেনের প্রায় সমস্ত অঞ্চলে বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হবে।
রাজধানী বাদে কিয়েভ অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক এলাকা আগামী দিনে বিদ্যুৎবিহীন থাকবে বলে জানিয়েছে সেখানকার গভর্নর। যুদ্ধের আগে এ অঞ্চলের প্রায় ১৮ লাখ লোক বাস করত।
ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ হামলায় কিয়েভ, ভিনিৎসিয়া, ওডেসা ও সুমি অঞ্চলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে কয়েক মাস ধরে রুশ হামলার পরে ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক শক্তি ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।