মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে মহানবীকে অনেক বাধা বিপত্তি পার করতে হয়েছিল। সেই পথের সন্ধান করতে সম্প্রতি মাঠে নামেন সৌদি ক্রীড়াবিদ ও অভিযাত্রী বদর আল শাইবানি।
হিজরতের পথের সন্ধান করতে এবং প্রমাণ নথিভুক্ত করতে ওই পথ ধরে বদর আল শাইবানি ৫০০ কিলোমিটার হেঁটেছেন। এই ঐতিহাসিক পথ ভ্রমণে তার সময় লেগেছে ১২ দিন।
ভ্রমণের সময় আল শাইবানি প্রতিদিন গড়ে ৪০ কিলোমিটার করে হেঁটেছেন। তিনি বলেন যে, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল এমন একটি যাত্রাকে তুলে ধরা যা ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছিল।
বদর আল শাইবানি বলেন, মহানবীর হিজরতের পথ চিহ্নিত করে সেই পথে পর্যটকদের ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করতে কাজ চলছে। এই ঐতিহাসিক পথে পরিভ্রমণ করতে হলে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তারই কাজ চলছে।
সৌদি অভিযাত্রী আল শাইবানি এই যাত্রার সময় সাওর গুহাসহ ১২টি উল্লেখযোগ্য স্থান অতিক্রম করেন। হিজরতের সময় মক্কার কুরাইশগোষ্ঠীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নবীজী সা. আবু বকর সিদ্দিক রা.কে নিয়ে সাওর গুহায় আত্মগোপন করেছিলেন।
আল শাইবানি বলেন যে, এই মহাকাব্যিক যাত্রার জন্য পাঁচ বছর ধরে পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এই যাত্রা তার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা বলে মন্তব্য করেন সৌদি এই অভিযাত্রী।
অভিযানের সময় সাওর গুহায় রাত্রিযাপন করেন আল শাইবানি। এটিকে অভিযানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন তিনি।
আল শাইবানি বলেন, মহানবী যে পথে হিজরত করেছেন সেই একই পথে যাত্রা ছিল এক অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চ এবং আনন্দ, যা আমি কখনই ভুলব না। মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠে যেমন খুশি ও আবেগপ্রবণ হয়েছিলাম এই অভিযান শেষেও তেমন অনুভব করেছি।’
আল শাইবানি সাতটি মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করেছেন। তিনি সৌদির নাগরিক হিসেবে ষষ্ঠ ব্যক্তি, যিনি মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন।