রাজধানীর মহাখালী খাজা টাওয়ারের ১৩তলায় অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র।
সূত্রটি জানায়, রাত ১২টার দিকে খাজা টাওয়ার থেকে তৃতীয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মরদেহটি একজন নারীর। তবে তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাত সোয়া ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আকলিমা রহমান নামের এক নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই আকলিমা নিঁখোজ ছিলেন বলে জানায় তার পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আকলিমা খাজা টাওয়ারের নবম তলার রেস অনলাইন লিমিটেডে কাজ করতেন। তার বাসা মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায়।
এর আগে, খাজা টাওয়ার থেকে হাসনা হেনা (২৭) ও মো. রফিকুর ইসলাম (৬২) নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর মধ্যে হাসনা হেনা ওই ভবনে অরবিট নামে একটি ইন্টারনেট সার্ভিস কোম্পানির সেলস বিভাগে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। আতঙ্কে দড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আর ওই ভবনে ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন রফিকুল ইসলাম। তিনি মিরপুর-১ নম্বরের শাহ আলীবাগ সলিমুদ্দিন মার্কেট রোডে পরিবার নিয়ে থাকতেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টার দিকে মহাখালীর আমতলী মোড়ের কাছের ১৪তলা বিশিষ্ট খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে পর্যায়ক্রমে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট। এছাড়া ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া সাত প্লাটুন আনসার সদস্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। এরপর প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।