শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৭ রান। স্ট্রাইকে ক্রিস মরিস, বোলিংয়ে কাগিসো রাবাদা। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন মরিস, ওই ওভারে আরও একটি ছক্কায় নিলেন ১৫ রান। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে নিশ্চিত করলেন দলের জয়। মরিসের এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আইপিএলে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের রাজস্থান রয়্যালস।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে তাদের সামনে ১৪৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাব দিতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি রাজস্থানের। ১৩ থেকে ১৭, এই চার রানেই তারা হারায় তিন ব্যাটসম্যানকে। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসান ৩ বলে চার রান করে সাজঘরে ফেরেন।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ বলে ৬২ রান করে আবেশ খানের শিকার হন তিনি। তবে তার এমন ইনিংসের পরও রাজস্থানের হারের শঙ্কা ছিল সবসময়। সেটা কাটিয়েছেন ক্রিস মরিস। ৪ ছক্কায় ১৮ বলে ৩৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। দিল্লির পক্ষে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন আবেশ খান।
এর আগে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসান। কিন্তু শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দিল্লি। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫ রানের সময় আউট হন পৃথ্বী শ। ৫ বল থেকে ২ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানও উইকেটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ১ চারে ১১ বলে ৯ রান করে পৃথ্বীর উইকেট নেওয়া জয়দেব উনাদকাটের বলেই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। আজিঙ্কা রাহানে ও মার্কোস স্টয়নিসও ফিরে যান দ্রুতই।
এরপর অনেকটা একার লড়াই শুরু হয় অধিনায়ক ঋষভ পান্তের। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তার আগে ৯ চারে ৩২ বলে ৫১ রান করেন ঋষভ। শেষদিকে ললিত ইয়াদবের ২৪ বলে ২০ ও টম কারানের ১৬ বলে ২১ রানে ভর করে ১৪৭ রানের সংগ্রহ পায় দিল্লি। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন উনাদকাট। আর ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।