২০২৪ ভারতের লোকসভা ভোটের আগেই কেন এমন ভাবনা সৃজিতের, তা জানার আগ্রহ অনেকেরই। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ কথাটা একদম মিলে যায়। তার অনেক অনুরাগীই এখন তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
সত্যিই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিক বানাচ্ছেন সৃজিত? পরিচালক সেকথা পরিষ্কারভাবে না জানালেও এক সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, মমতার জীবন নিয়ে খুব ভালো সিনেমা হবে। সৃজিত ছোটবেলা থেকে যেগুলো পড়ে এসেছেন, সেই ভালোলাগার জায়গাগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন সিনেমার পর্দায়। ফেলুদা পড়তে ভালো লাগত তাই বানিয়েছেন দার্জিলিং জমজমাট-ছিন্নমস্তার অভিশাপ। বানিয়েছেন মিশর রহস্য, কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন। জুলিয়েট-সিজারকে ফুটিয়ে তুলেছেন জুলফিকারে।
এরপর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বায়োপিকের কথা উঠলে সৃজিত বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তিনি এও বলেন, বায়োপিক বানানোর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ছবিতে সব সত্যি দেখানো যায় না। কিছু অধ্যায় চেপে যেতে হয়।
সৃজিত জানান, তিনি নিজের সিনেমা বানানোর সময়ে এমন পরিবেশ চান, যেখানে শেষ বক্তব্য থাকবে তারই। কেউ নাক গলাবে না তার পরিচালনা নিয়ে। আর তাই বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতার বায়োপিক বানানোর প্রস্তাব তার কাছে এলেও তিনি হাতে নেননি ওগুলো।