রেমিট্যান্স প্রেরণে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত, ওমান এবং বাহারাইনের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কুয়েত।
কুয়েত হতে ২০২০ সালে রেমিট্যান্স প্রেরণ হয় ১৫৬৯.১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৪৭৪.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৫১১.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান এক বার্তায় এ তথ্য দেন।
প্রবাসীদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ পরিসংখ্যান দেখে বুঝা যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ও গুজবের মধ্যেও কুয়েত প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে আমাদের জন্য এবং দেশের জন্য। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বে মন্দাভাব চলছে। অনেকেই ভুল তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে যার কোনো ভিত্তি নেই। আপনারা নিশ্চিন্তমনে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠান। আগে যেমন আপনারা দেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন আগামীতে একইভাবে দেশের জন্য কাজ করে যাবেন।
আগামী ২০২৩ নতুন বছরে বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে পোশাক, ওষুধ, চাল, মাছ, শাক-সবজিসহ অনেক কিছুই আছে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে যা বাহিরের দেশে রপ্তানি করতে পারে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শিল্পজোন রয়েছে যেখানে বিদেশের কোম্পানিগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ রয়েছে। দেশের ভালো দিকগুলো যে যার অবস্থান থেকে বাহিরের দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরার অনুরোধ করছি।