নেত্রকোনার মদনে কাল বৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২২ মে) পরিদর্শনে গিয়ে ২২৯টি পরিবারের ঘর কালবৈশাখীতে ভেঙে যাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে, রোববার (২১ মে) বিকেল আনুমানিক ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। প্রায় এক ঘন্টার স্থায়ী কালবৈশাখী ঝড়ে পাল্টে গেছে মদন উপজেলার চিত্র। গাছের ডাল-পালা ভেঙে নেত্রকোনা-মদন সড়ক,কেন্দুয়া-মদন সড়ক, ফতেপুর-মদন সড়কসহ কয়েটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের পর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কয়েক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে যান চলা স্বাভাবিক করে। এর সাথে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ এর খুঁটি ভেঙে যায়। বিদ্যুৎ এর তারে গাছ ও ডাল-পালা পড়ে থাকায় রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখায় সীমাহিন দুর্ভোগে পড়ে লোকজন। সোমবার দুপুরে পৌরসদরের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করলেও গ্রামাঞ্চলের সংযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মদন জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. ফিরোজ হোসেন জানান,‘ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় ২০টি খুঁটি ভেঙে গেছে। খুটি মেরামত করতে ঠিকাদারের তিনটি দল কাজ করছে। বর্তমানে পৌর সদরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেছি। গ্রামাঞ্চলের সংযোগ চালু করতে আরও সময় লাগবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ‘শিলাবৃষ্টিতে ১৫ হেক্টর জমির পাট আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এরসঙ্গে ০.৫ হেক্টর জমির শাকসবজি ক্ষতি হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার চিত্র অনেকটা পাল্টে গেছে। ঝড়ের পর থেকে আমি নিজে সরজমিন পরিদর্শণ করে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করছি। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২২৯টি পরিবারের ঘর ভেঙে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থদের সংখ্যা আরও বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকরা কর্তৃক সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।