জাতীয় ফুটবল দলের স্পেনিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে বাংলাদেশ এখনো কোনো ম্যাচে জিততে পারেনি। বাফুফের সঙ্গে ক্যাবরেরার চুক্তি রয়েছে আর দুই মাস। চুক্তি শেষ হওয়ার আগে কম্বোডিয়া ও নেপাল ম্যাচই তার শেষ অ্যাসাইনমেন্ট।
চুক্তির আগে শেষ অ্যাসাইনমেন্ট হলেও নিজের ওপর চাপ নিচ্ছেন না স্পেনিশ কোচ। তিনি বলেন, ‘আগে এই দুই ম্যাচ ভালোমতো শেষ করতে চাই। এরপর দেখা যাবে’।
নেপাল ও কম্বোডিয়া এই দুই প্রীতি ম্যাচের জন্য তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেয়েছেন ক্যাবরেরা। তাই এই দুই ম্যাচের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। ‘ আমরা যথেষ্ট অনুশীলন করেছি এবং নিজেরা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। দু’টি ম্যাচই জয়ের জন্য খেলব’ বলেন কোচ।
কোচের মতো অধিনায়কও একই সুরে কথা বলেছেন। বলেন, ‘কম্বোডিয়া ও নেপালে জয়ের জন্য যাবে বাংলাদেশ, আমরা দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট চাই। ছয় পয়েন্টের উদ্দেশ্যেই আমাদের যাত্রা’। বাংলাদেশ জাতীয় সিনিয়র ফুটবল দল সরাসরি জয়ের আশাবাদ খুব কম সময় ব্যক্ত করেছে।
এবার এই আত্মবিশ্বাসের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা গত বিশ দিন অনেক কঠিন অনুশীলন করেছি। এ রকম অনুশীলন আমরা আগে করিনি। বিশেষ করে ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। কোচ ফিটনেস নিয়ে বেশি কাজ করায় অনেক ফুটবলারের ওজন আগের চেয়ে কয়েক কেজি কমেছে।’
বাংলাদেশ দল আজ বুধবার মধ্যরাতে কম্বোডিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছে। ১৯ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়ার বিপক্ষেই একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে। এই ম্যাচটি আনুষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী হলেও স্রেফ অনুশীলন ম্যাচ হিসেবেই গণ্য হবে। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাচটি ফিফা স্বীকৃতি। ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কম্বোডিয়া থেকে নেপাল যাবে। ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে একটি আরেকটি ম্যাচ খেলবে।
এই দু’টি ম্যাচকে জামাল র্যাংকিংয়ে উন্নতির উপলক্ষ্য হিসেবে দেখছেন, ‘এই দুই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে আমাদের র্যাংকিংয়ে উন্নতি করা সম্ভব’।
বাংলাদেশ দল আগে এ রকম আশাবাদ ব্যক্ত করলেও বাস্তবে তেমন ফলাফল পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে জামাল বলেন, ‘আপনারা অনেক যদি কিন্তুর ওপর ফলাফল বলছেন, আমরা পজিটিভ, আগে খেলতে চাই’।
গত বিশ দিনের বেশি সময় অনুশীলন হলেও প্রতিপক্ষকে নিয়ে তেমন বিশ্লেষণ হয়নি। আগামী কয়েক দিন সেই কাজ করবেন হ্যাভিয়ের। এ বিষয়ে জামাল বলেন, ‘কোচের কাছে ভিডিও রয়েছে তাদের কিছু ম্যাচের। কম্বোডিয়া যাওয়ার পর সেগুলো নিয়ে কাজ হবে’।
কোচ হ্যাভিয়ের ২৭ জন নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলেন। ইনজুরির জন্য সোহেল রানা ও রায়হান ক্যাম্প থেকে ছিটকে যান। ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াডে আসতে পারেননি শাহরিয়ার ইমন ও গোলরক্ষক নাইম।