ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে কানাডার দাবানল। এরই মধ্যে দেশটির উত্তরের অন্যতম বৃহৎ শহর ইয়েলোনাইফ থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটারের (১০ মাইল) মধ্যে চলে এসেছে আগুন। বৃষ্টি না হলে শনিবারের মধ্যেই বাতাসের প্রভাবে দাবানলটি উপকণ্ঠে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দাবানলের প্রভাবে প্রাণহানি এড়াতে ইতোমধ্যেই ইয়েলোনাইফের ২০ হাজার মানুষকে শহর ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। ফলে ইয়েলোনাইফের উপকণ্ঠে দাবানল থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন স্থানীয় বিমানবন্দর ছাড়াও শহরের বাইরের রাস্তায়।
এদিকে, সবচেয়ে কাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থলও (ফোর্ট প্রোভিডেন্সে) ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হওয়ায় ইয়েলোনাইফের সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রীতিমতো জট তৈরি হয়েছে গ্যাস স্টেশনগুলোয়।
অন্যদিকে, জরুরি এই অবস্থার মাঝেই নতুন বিপাকে পড়েছেন ফ্লাইটে শহর ছাড়া বাসিন্দারা। কারণ, বড় দুটি এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যেই ভাড়া ও টিকিট পরিবর্তন ফি বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েছে এয়ালাইন্সদুটি।
এছাড়াও জরুরি সামরিক উচ্ছেদ ফ্লাইটের জন্য শত শত লোক লাইনে দাঁড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগুন শহরের ১৬ কিলোমিটারের (১০ মাইল) মধ্যে চলে আসায় নাগরিকদের উৎকণ্ঠা বেড়েছে কয়েক গুণ।
ইতোমধ্যে কানাডার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলো প্রায় ২৪০টি দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকেই দেশটির সরকার আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ আরও জোরদার করেছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও দাবানলের পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি জরুরি বৈঠক করেছেন।
অন্যদিকে, কানাডার টেরিটোরিয়াল ফায়ার সার্ভিস ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আগামী দিন খুব কঠিন হবে, শুক্র ও শনিবার উত্তর-পশ্চিম থেকে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম বাতাসের সঙ্গে। যা আগুনকে ইয়েলোনাইফের দিকে ঠেলে দেবে।’
পুরো উত্তর-পশ্চিম ভূখণ্ডে অন্তত ২৪০টি দাবানল তৈরি হয়েছে, এটি তারমধ্যে একটি। ওই অঞ্চলটি অনেক বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ। শুধু ইয়েলোনাইফেই প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। এদের সবাইকেই শুক্রবার সকালের মধ্যে শহর ছাড়তে বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: গার্ডিয়ান, বিবিসি।