বুধবার (১০ জানুয়ারি) কমিশন বরাবর অভিযোগ দেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এসব অভিযোগ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের রাতে নৌকা প্রতীকের ‘সন্ত্রাসীরা’ বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার কর্মীদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। একই সঙ্গে আমার ভোটারদের হুমকি দেন যাতে তারা ভোটকেন্দ্রে না যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ভোটের দিন কেন্দ্রের প্রত্যেক কক্ষে নৌকা প্রার্থীর ১০ এর অধিক পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে একটি সন্ত্রাসী পরিবেশ সৃষ্টি করে ভয়ভীতির পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।
নাগরপুর থানার ১২টা ইউনিয়নের মধ্যে ধলেশ্বরী নদীর পূর্ব পাশে মোকনা এবং পাকুটিয়া ইউনিয়ন ছাড়া বাকি সব ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ‘ভোট ডাকাতি’র উৎসব করেছে বলে অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন দুপুর ১টার পর থেকে আমার নির্বাচনী এলাকার সব কেন্দ্রে কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মাধ্যমে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এরমধ্যে নাগরপুর উপজেলার আফছার উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে আমি হাতেনাতে সিল মারা অবস্থায় ধরিয়ে দিলে আমাকে নৌকার সন্ত্রাসীরা মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেয়। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে পারলেও মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে তা ডিলিট করে দেয়। তারপরও ফেসবুক লাইভে ১০ সেকেন্ডের ভিডিওটি সংরক্ষিত আছে।