আগামী জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হলে তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিতে বলে মনে করেন কমিশন সচিব শফিউল আজিম। সচিব জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের লিগ্যাল অথরিটি নিজের নেই। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করতে কমিশনের অনুমোদন লাগবে। আইন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত একমাত্র কমিশনই নিতে পারে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব এসব কথা বলেন।
সচিব জানান, বর্তমানে কমিশনহীন ইসিতে আইনে নির্ধারিত রুটিন কাজগুলোই চলছে। আইন অনুযায়ী, কমিশনের অনুমোদনক্রমে প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের পর যাচাই-বাছাই, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২ মার্চ প্রকাশের বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হলে তার আগেই নিয়োগ দিতে হবে নতুন কমিশন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। পরে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগ দেন। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সেই সময় শেষ হবে আগামী ৪ নভেম্বর।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার বিষয় কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়ায় কাজী হাবিউল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ করে। গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনিসহ পুরো কমিশন পদত্যাগ করেন। এখনো নতুন করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ২০০৯ সালের ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী জানুয়ারিতে এ কার্যক্রম শুরু হবে। সে সময়টা এখনো আসেনি। আমাদের রুটিন আছে ২ জানুয়ারি থেকে করা। এখন প্রতিদিনের হালনাগাদ করছি।
সচিব বলেন, হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করার অনুমোদন দেওয়া কমিশনের কাজ। সুতরাং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। এখন তো আইনে আমার লিগ্যাল অথরিটি নেই।