ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা! চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানের পর, টনক নড়ে প্রশাসনের। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে গঠন করা হয়, তদন্ত কমিটি। তবে ইসির এক কর্মকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায়, এক বছরেও শেষ হয়নি এর তদন্ত। ঐ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে, ইসির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বড় পদে থাকায়, তদন্ত আর এগোচ্ছে না। ফলে কক্সবাজার, বান্দরবান এলাকায় শত চেষ্টায়ও মূল হোতাদের খোঁজ মিলছে না। দ্রুত কারিগরি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গত কয়েক বছরে রোহিঙ্গারা ঘাঁটি গেড়েছে কক্সবাজার বান্দরবান এলাকায়। যাদের অনেকেই পরিচয় বদলে ভোটার হয়েছেন বাংলাদেশের। এখনো অনেকে চেষ্টা চালাচ্ছেন ভোটার হবার। রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্তি নিয়ে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানের পর নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে নতুন করে আরো ১০ রোহিঙ্গা ভোটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় ইসি। রোহিঙ্গাদের ভোটার করার ঘটনায় দুটি কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন।
যার একটি কমিটির রিপোর্টে নির্বাচন কমিশনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নামও উঠে আসে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এখনো। অন্য কারিগরি কমিটি প্রায় এক বছরেও রিপোর্ট না দেয়ায় ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে নির্বাচন কমিশন থেকে কারা কারিগরি সহযোগিতা করেছে, দ্রুত তা জানাতে কমিটিকে মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ব্রি জে. ফজলুল কাদের বলছেন, ঐ ঘটনাসহ এনআইডি জালিয়াতিতে মাঠ পর্যায়ের যে সব ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের নাম উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একের পর এক এনআইডি জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে জাতীয় পরিচয়পত্রের অ্যাফিস সার্ভারের ত্রুটির বিষয় উঠে আসে কমিটির সুপারিশে। তাই এই সার্ভার দ্রুত শক্তিশালী করারও পরামর্শ ইসির। এর আগে রোহিঙ্গা ও কুষ্টিয়ার এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় চ্যানেল ২৪ এ সংবাদ প্রচারের পর তদন্তে নামে নির্বাচন কমিশন।