এ বিষয়ে ইসি মো. আলমগীর বলেন, স্বাধীনভাবে যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার আছে, তেমনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার অধিকারও আছে। একই সঙ্গে তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধও করতে পারেন, সেটাও কোনো সমস্যা নেই।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি মো. আলমগীর বলেন, এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে স্বাধীনভাবে যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার আছে তেমনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার অধিকারও আছে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চায় সেটা তাদের ইচ্ছা এবং রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে তারা অংশগ্রহণ না করতে পারেন।
একই সঙ্গে তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধও করতে পারেন সেটাও কোনো সমস্যা নেই। সেটাও শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। কোনো নাশকতা বা উসকানি দেওয়া, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।
তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা করা আরপিও অনুযায়ী এবং আচরণবিধি অনুযায়ী এটি যেহেতু অপরাধ, সে অনুযায়ী আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। আরপিও অনুযায়ী অপরাধগুলোর সঙ্গে কেউ সংশ্লিষ্ট থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেটি কঠোরভাবে দেখবো।
সহিংসতা ভোটে প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি মো. আলমগীর বলেন, সহিংসতা একবারেই দুএকটি ক্ষেত্রে বলা যায়। এটাকে যদি পার্সেন্টেজের মাত্রায় বলেন, এটার মাত্রা একেবারেই নগণ্য। খুবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যারা গোয়েন্দা বিভাগের আছেন তারা অত্যন্ত তৎপর। তারা বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন জায়গা থেকে নিচ্ছেন। কোনো নাশকতার জন্য কেউ চেষ্টা করছে কিনা সে ব্যাপারে তারা অত্যন্ত সজাগ। যাদের ধরা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।