জামালপুরের মেলান্দহ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণ চলাকালীন ১ টা ৩০ মিনিটে দিকে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দুপুরের খাবার খেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাসহ পুলিশ প্রশাসনের লোকজন।
রোববার (৩০ জুলাই) মেলান্দহ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের শাহজাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরে ১ টা ১৫ মিনিটের দিকে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে একটি অটোরিকশা দিয়ে খাবার আসে। এ সময় প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাসহ পুলিশের কিছু সদস্য খাবারগুলো সংগ্রহ করেন। পরে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে মধ্যাহভোজ শুরু করেন তারা। এ সময় ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। খাওয়া শেষে দুপুর ২টার দিকে ভোটগ্রহণ আবার শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর ১ টা ১৪ মিনিটের দিকে ভোটকেন্দ্রে অটোরিকশা করে খাবার পাঠিয়ে দেন কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন কালু। কিন্তু খাবারের প্যাকেটের ঘাটতি হওয়ায় পরে আবার খাবার নিয়ে আসেন ওই প্রার্থী।
লিপি আক্তার নামের ভোটার অভিযোগ করে বলেন, এখানে ওনারা যা করছে, সবাই খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। ভোটাররা এখানে বসে আছে, কেউ ভোট দিতে পারছে না। নিয়ম হলো দুইজন ভোট নিবে, দুইজন খেতে যাবে। এখানে সবাই একসঙ্গে খেতে গেছে। এখন ভোটারেরা সবাই অপেক্ষা করছে।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে খাবার খাওয়ার নিয়ম আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনিও মানুষ আমিও মানুষ। সারাদিন কাজ করার পর তো আমাদের শরীরেরও চাহিদা থাকে। ভোটগ্রহণ একবারে তো বন্ধ হয়নি। ভোট গ্রহণ চলছে।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, পর্যায়ক্রমে সবাই খাবে ও নামাজ পড়বে। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকতে পারে না।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো.আমজাদ হোসেন (টেবিল ল্যাম্প), মো. নজরুল ইসলাম খান (উটপাখি), মো. মহির উদ্দিন (পানির বোতল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২৫২১ জন।