তুরস্কের ভূমিকম্পে আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজে পূর্ণ গতি আনা সম্ভব হচ্ছে না; আর তার সবচেয়ে বড় কারণ বর্তমান ঠান্ডা-ভেজা আবহাওয়া ও তুষারপাত।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা আরও নেমে যাবে।
সোমবার ভোরের দিকে ভয়াবহ জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খারমানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক-সিরিয়ার পাশাপাশি লেবানন ও সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে ভবনধসের ঘটনায় দু’দেশে ইতোমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে, আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে কয়েক হাজারে। তুরস্কে এখন পর্যন্ত ৩শ’রও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে; আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার মানুষকে।
ভূমিকম্পের পর থেকেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে তুরস্কের সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এফএডির কর্মীরা; কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে তৎপরতা।
এএফএডির কর্মকর্তারা সিএনএনকে বলেন, ‘কয়েকদিন তুষারপাতের পর সোমবার তা বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু পথে-ঘাটে এখনও তুষার জমে আছে। আবহাওয়াগত কারণে আমরা উদ্ধার তৎপরতায় গতি আনতে পারছি না।
এদিকে, সিএনএনের তুরস্ক প্রতিনিধি স্কট ম্যাকলিন, ‘এখানে খুবই ঠান্ডা। এই আবহাওয়ায় শীতের কাপড় ছাড়া দীর্ঘসময় বাইরে থাকা অসম্ভব। যারা এখনও ধ্বংসস্তুপে জীবিত আছেন, তাদের জন্য যদি শিগগিরই গরম কাপড়, খাবার-পানির ব্যবস্থা না করা যায়— সেক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যায় উল্লম্ফন ঘটবে।’