প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার অর্ধেকের বেশি রান একাই করেছেন চট্টগ্রাম টেস্টের অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে পুড়তে হয়েছে মাত্র ১ রানের আক্ষেপে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছেন ম্যাথিউজ।
তবে তার ১৯৯ রানের ইনিংসের সুবাদে চারশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা। বিশ্বের ১২তম ও বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ১৯৯ রান করে আউট হয়েছেন ম্যাথিউজ। শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে ৩৯৭ রানে। তবে, তার মতে অন্তত ৫০-৬০ রান কম হয়ে গেছে লঙ্কানদের।
লঙ্কান ইনিংসের ১৫৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ২ রান নিয়ে ১৯৯ রানে পৌঁছান ম্যাথিউজ। পরের বলে ফিল্ড সেটিংয়ে বেশ পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। শর্ট মিড উইকেটে থাকা সাকিবকে নেওয়া হয় স্কয়ার লেগে। মুমিনুল দাঁড়ান শর্ট মিডের ক্যাচিং পজিশনে। লং অন ও লং অফ ফিল্ডারকে আনা হয় ভেতরে।
সুযোগ বুঝে উড়িয়ে মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করতে চেয়েছিলেন ম্যাথিউজ। কিন্তু বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে জমা পড়ে সেই বলেই স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো সাকিবের হাতে। যার ফলে সমাপ্তি ঘটে ম্যাথিউজের ৯ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের ম্যারাথন ইনিংসের। নিজের ইনিংসে ৩৯৭ বল খেলে ১৯ চার ও ১ ছয় হাঁকান তিনি।
সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কা ১৫৩ ওভারে করেছে ৩৯৭ রান। ওভারপ্রতি যা দাঁড়ায় ২.৫৯ রানে। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে এতো ধীরগতিতে রান তোলার কারণ হিসেবে বাংলাদেশের আঁটসাঁট বোলিংকে কৃতিত্ব দিয়েছেন ম্যাথিউজ। বাংলাদেশের বোলাররা কোনো সুযোগই দেয়নি বলে জানালেন তিনি।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথিউজ বলেছেন, ‘এই উইকেটে এটি পার স্কোর। এটি খুবই ভালো উইকেট। বাংলাদেশ অনেক ভালো বোলিং করেছে। তারা আমাদের কোন সুযোগ দেয়নি, কোনো সহজ রান করতে দেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাদের সব বোলার ভালো করেছে, আমাদের ওপর অনেক চাপ সৃষ্টি করেছে। আমাদেরকে কষ্ট করে রান নিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা ফলও পেয়েছে। আমরা মাঝপথে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলেছি এবং পথ থেকে ছিটকে যাই। আমার মনে হয় আমরা ৫০-৬০ রান কম করেছি।’