তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তান একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “চুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান ফের গোলাগুলি শুরু করেছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং এর সম্পূর্ণ দায় পাকিস্তানের।” তিনি আরও জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনী এর উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে এবং পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোববার (১১ মে) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “যুদ্ধবিরতির সফল বাস্তবায়নে যেকোনো জটিলতা সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে আলোচনা ও যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি মেনে চললেও ভারতও এর ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। ইসলামাবাদের দাবি, সীমান্তে অবস্থানরত তাদের সেনারা দায়িত্বশীল এবং সংযম প্রদর্শন করছে।
সংঘাত শুরুর আগে প্রতিদিনই সীমান্তে গোলাগুলি, ড্রোন হামলা এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়া ছিল নিয়মিত ঘটনা। দু’পক্ষের উত্তপ্ত অবস্থান দেখে আন্তর্জাতিক মহলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, পরমাণু শক্তিধর ভারত-পাকিস্তান যেকোনো সময় সরাসরি যুদ্ধাবস্থায় জড়িয়ে পড়তে পারে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সেই আশঙ্কা কমালেও, চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আবারো পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানও কূটনৈতিকভাবে ভারতের “অভিযোগ ও আচরণ”কে অপ্রত্যাশিত ও উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করেছে।