ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আগের বিশ্বকাপে রানার্স-আপ হওয়ার কারণেই যেন জয়ের তৃষ্ণা বেড়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের। চলতি বিশ্বকাপেও তার চার ম্যাচেই শেষ হাসি হেসেছে। অন্যদিকে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য ভারতও। তারাও এখন পর্যন্ত চার ম্যাচেই অপরাজেয়। বিশ্বকাপের ২১তম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হার না দেখা দল দুটি। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচটি আগের এক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ভারতকে।
সর্বশেষ ২০০৩ বিশ্বকাপের পর থেকে আইসিসির ইভেন্টে গত ২০ বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের জয় অধরা। আজ (রোববার) ধর্মশালায় কাঙ্ক্ষিত সেই জয় পেতে চান রোহিত শর্মারা। ওয়ানডেতে দুই দলের অতীত পরিসংখ্যান অবশ্য কিছুটা ভারতের পক্ষেই রয়েছে। যদিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই কিউইরা।
এখন পর্যন্ত ৫০ ওভারের ফরম্যাটে দু’দল মুখোমুখি ১১৬ বার। এর মধ্যে ৫৮টিতে জয় ভারতের আর ৫০ ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। বাকি ৭ ম্যাচ শেষ হয়েছে ফল ছাড়াই এবং ১টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। তবে বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপরা। ৮ ম্যাচে তাদের ৫ জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় রয়েছে ৩টিতে। এর আগের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেই আসর থেকে ছিটকে পড়েছিল ভারত। মেন ইন ব্লুরা এবার ঘরের মাঠে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া।
নিজেদের পৃথক সবশেষ পাঁচ ম্যাচে কেবল ১টিতে হেরেছে ভারত। বাকি চার ম্যাচে রোহিত শর্মাদের জয় এসেছে। এদিক থেকে কিছুটা এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। নিজেদের সবশেষ ৫ ম্যাচের একটিতেও হারেনি কিউই বাহিনী। এবার প্রথম হারের মুখ দেখতে হবে যেকোনো একটি দলকে।
ধর্মশালায় আজ ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। ম্যাচটিতে হবে দু’দলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠারও লড়াই। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়েও নেট রানরেট বেশি থাকায় কিউইদের পজিশন নম্বর ওয়ানে। তবে নিজেদের মাটিতে বেশকিছু কারণে এগিয়ে আছে ভারত। এর মধ্যে অন্যতম– ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। দুই তারকাই আছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের দৌড়ে। বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদেরও একজন জাসপ্রিত বুমরাহও দলে আছেন।
এদিক থেকে খুব পিছিয়ে নেই কিউইরাও। নিয়মিত অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন মাত্র এক ম্যাচ খেললেও, দলের তরুণ ক্রিকেটাররা দারুণ ক্রিকেট শৈলী দেখিয়েছেন। ধারাবাহিক রান করছেন রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়েরা। আসরের সেরা বোলারের তালিকায় আছেন মিচেল স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরি। তবে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে তাদের।