ভারত থেকে এসেছেন আইপিএল খেলা দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তামিম-মুশফিকরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি সাপেক্ষে হোম কোয়ারেন্টাইনের সুবিধা পেলেও, ভারত থেকে আসায় সাকিব-মোস্তাফিজকে থাকতে হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।
একইভাবে গত ৪ মে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরলেও দলগত অনুশীলনে যোগ দিতে পারেননি ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমসহ ৯ ক্রিকেটার। ঈদের আগে অনুশীলন হবে আর মাত্র একদিন, রোববার। এদিনও তাদের অনুশীলনে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
আজ (শনিবার) শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান, মূলত ভারত থেকে আসার কারণেই সাকিব ও মোস্তাফিজের জন্য প্রটোকলটা খানিক ভিন্ন। বলা চলে, অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশি কঠোর। যে কারণে সাকিব-মোস্তাফিজের অনুশীলনে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী বক্তব্য দিতে পারেননি বিসিবি সিইও।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের ক্ষেত্রে আমরা ধাপে ধাপে কাজ করেছি। এখন যারা শ্রীলঙ্কা থেকে এসেছিল, তাদের ব্যাপারে কাজ করছি। যেহেতু যারা ভারত থেকে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রটোকল ভিন্ন এবং কিছুটা কঠিন। সেক্ষেত্রে তাদেরটা (সাকিব-মোস্তাফিজ) নিয়েও আমরা কাজ করছি। আশা করছি ওই ব্যাপারেও ইতিবাচক কিছু পাবো।’
শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ৯ জন খুব শিগগিরই অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন বলে জানালেন নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। যদিও সেই শিগগিরই আসলে ১৮ তারিখের আগে নয়। কেননা রোববার অনুশীলনের পর দেয়া হবে ঈদের ছুটি। পরে আবার ১৭ তারিখ করোনা পরীক্ষা করিয়ে অনুশীলন শুরু হবে ১৮ মে থেকে।
তখন তামিম-মুশফিকরাও হয়তো যোগ দিতে পারবেন অনুশীলনে। বিসিবি সিইওর ভাষ্য, ‘আশা করছি যারা শ্রীলঙ্কা থেকে এসেছেন তারা আজ-কালের ভেতর একটা টেস্ট দেবেন। নেগেটিভ হওয়ার পর হয়তো জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। আমাদের সেভাবেই বলা হয়েছে যে, যেসব খেলোয়াড় নেগেটিভ হবেন তারা জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবেন।’
আগামী ১৬ মে আসার কথা রয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের। তাদের কোয়ারেন্টাইন প্রটোকল কেমন হবে? এ প্রশ্নের জবাবে সারাবিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক অবস্থাটা তুলে ধরেন বিসিবি সিইও। জানান, শ্রীলঙ্কায় গিয়ে বাংলাদেশ যেমন কোয়ারেন্টাইন করেছে, এবার বাংলাদেশে লঙ্কানদের তেমনই করতে হবে।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা সফরে আমাদের যে প্রটোকল অনুসরণ করতে হয়েছে, ওদেরও সেটাই করতে হবে। মানে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা দল আসার পরে তিনদিন রুম কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। পরের চারদিন নিজেদের মধ্যে গ্রুপ হিসেবে অনুশীলন করবে। এরপরে আমাদের সঙ্গে খেলতে পারবে।’ ‘একটা জিনিসই আমরা সংশয়ের মধ্যে আছি সবাই। এই ধরনের বিষয় যখন আসছে সেটা অনেকে অন্যভাবে বর্ণনা করছে। সেক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এটা কিন্তু বিশেষ কিছু না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিশ্বের খেলাধুলা বলেন আলাদা প্রটোকল আছে।’
‘আমাদের দেশের যে প্রটোকল আছে সেগুলো কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য। মানে হচ্ছে যারা সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে আসছেন, তারা একটা টেস্ট নেগেটিভ দিয়ে আসছেন। পরে সরকারের প্রটোকল মেন্টেইন করছেন। সেক্ষেত্রে আর কোন টেস্টেও যাচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের স্পোর্টস ইভেন্টে যারা অংশগ্রহণকারী তাদের কিন্তু নির্দিষ্ট প্রটোকল মেনে আসতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরীক্ষা তাদের করতে হয়। টেস্টে নেগেটিভ হলেই অংশ নিতে পারেন।’
‘আপনারা জানেন নিউজিল্যান্ড করোনামুক্ত। সেখানে বাইরে থেকে কেউ যেতে পারেন। সেখান থেকে কিন্তু বাংলাদেশ দল খেলে এসেছে। ক্রীড়া ইভেন্টের ক্ষেত্রে কোভিড প্রটোকল সাধারণ জনগনের ক্ষেত্রে প্রটোকলের মত এক হওয়ার কথা না। এখানে কিছু জটিলতা হচ্ছে। আশা করছি সেটা ঠিক করতে পারব।’