গত ২৪ জুন ইসিআই ঘোষণা করেছে, পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্যে প্রায় ৮ কোটি ভোটারকে (যা যুক্তরাজ্যের সমগ্র জনসংখ্যার সমান) ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে ভোটার হিসেবে পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে। যারা এই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হবেন, তারা তাদের ভোটাধিকার হারাবেন। ইসিআই নির্দেশিকা অনুসারে ‘সন্দেহভাজন বিদেশি নাগরিক’ হিসেবে রিপোর্ট করা হবে। এমনকি তাদের জেল বা নির্বাসনের মুখোমুখি হতে হতে পারে। বিহারে অক্টোবর বা নভেম্বরে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিতর্কিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) বাস্তবায়নের একটি গোপন পথ। মোদি সরকার অতীতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ চিহ্নিত করে তাদের নির্বাসনের উপায় হিসেবে এনআরসি প্রস্তাব করেছিল। এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন গত কয়েক সপ্তাহে হাজার হাজার বাংলাভাষী মুসলিমকে আটক করা হয়েছে। তাদের অনেককে বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে ভারত থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ সম্পর্কে আলজাজিরা ইসিআই-এর কাছে প্রশ্ন পাঠালেও, কমিশন কোনো উত্তর দেয়নি।
বিতর্কের মূল কারণ : বিহারের বাস্তবতা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য
বিহার ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্য, যার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তবে দেশের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য হওয়ায় এটি ভারতের রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। ২০০৫ সাল থেকে মোদির হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিহারে বেশিরভাগ সময় একটি আঞ্চলিক দল, জনতা দল (জেডিইউ) এর সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, রাজ্য নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ বিহারের গ্রামীণ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভ্রান্তি, আতঙ্ক ও নথিপত্রের জন্য টানাপোড়েনের সৃষ্টি করেছে। বিরোধী রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের গোষ্ঠীগুলো যুক্তি দিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ স্বল্প সময়ের মধ্যে নাগরিকত্বের নথিপত্র সরবরাহ করতে পারবে না, তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে।
ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস তার বিহার জোটের অংশীদার রাষ্ট্রীয় জনতা দল সহ (আরজেডি) বুধবার (৯ জুলাই) বিহার বন্ধের ডাক দিয়েছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। বিরোধী নেতা ও নাগরিক সমাজের গোষ্ঠীসহ একদল আবেদনকারী ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এই প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। আদালত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এই আবেদনগুলোর শুনানি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন বিজেপি প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে মুসলিম অভিবাসীদের বিপুল আগমনের অভিযোগ করে আসছে এবং নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে। এমনকি তারা দাবি করেছে, এই পদক্ষেপটি সারা দেশে পুনরাবৃত্তি করা হোক।
নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ও সমালোচনা
নির্বাচন কমিশনের ২৪ জুনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই অনুশীলনটি ‘কোনো অযোগ্য ভোটারকে তালকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না’ তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছিল। তারা দ্রুত নগরায়ন, ঘন ঘন অভিবাসন, নতুন ভোটার, মৃত ভোটার ও ‘বিদেশি অবৈধ অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্তি’-এর মতো কারণগুলোকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ সংশোধন ২০০৩ সালে করা হয়েছিল, কিন্তু তারপর থেকে ভোটার তালিকা নিয়মিতভাবে আপডেট করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের মতে, ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের কেবল ভোটার নিবন্ধন ফর্ম পুনরায় জমা দিতে হবে। অন্যদিকে, যাদের পরে যুক্ত করা হয়েছে, তাদের কখন যুক্ত করা হয়েছিল তার ওপর নির্ভর করে জন্ম তারিখের পাশাপাশি জন্মস্থানের প্রমাণপত্র, তাদের একজন বা উভয়ের পিতামাতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। বিহারের ৭৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে নির্বাচন কমিশন অনুমান করেছে, মাত্র ২৯ মিলিয়ন ভোটারকে তাদের পরিচয়পত্র যাচাই করতে হবে। তবে স্বাধীন অনুমান অনুসারে এই সংখ্যা ৪৭ মিলিয়নেরও বেশি হতে পারে।
এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রথমে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতিটি নিবন্ধিত ভোটারের কাছে গণনা ফর্ম বিতরণ করবেন। ভোটারদের তারপর ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নথিপত্র তৈরি করতে, এই নথিগুলো সংযুক্ত করে ফর্মের সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিতে হবে। খসড়া নতুন ভোটার তালিকা ১ আগস্ট প্রকাশিত হবে। যারা বাদ পড়েছেন তারা আপত্তি জানাতে আরও এক মাস সময় পাবেন।
নির্বাচনী সংস্কারের জন্য কাজ করা ২৫ বছর বয়সী অলাভজনক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) এর জগদীপ ছোকর বলেন, ২০০৩ সাল থেকে যুক্ত হওয়া সমস্ত নতুন ভোটারদের যাচাই-বাছাই করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের সেই সময়ের সমস্ত নির্বাচনের ওপর ছায়া ফেলে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইসি কি বলছে ২০০৩ সাল থেকে বিহারের ভোটার তালিকায় বিশাল কেলেঙ্কারি হয়েছে? তাহলে কি বলছে এই ২২ বছরে বিহার থেকে নির্বাচিত সবাই বৈধ নন?
এই অনুশীলনের সমালোচনা বিভিন্ন দিক থেকে করা হয়েছে
সময়সীমা : এক মাসের মধ্যে প্রায় ৮ কোটি মানুষের কাছে দুবার পৌঁছানো একটি বিশাল কাজ। নির্বাচন কমিশন এই কাজের জন্য প্রায় এক লাখ কর্মকর্তা ও প্রায় চার লাখ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে।
স্বচ্ছতার অভাব : এই অভিযানের বিশাল প্রকৃতি ও এর প্রভাব সত্ত্বেও, নির্বাচন কমিশন ২৪ জুন লিখিত আদেশে এই পদক্ষেপ ঘোষণা করার আগে জনসাধারণের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি, যা বিশেষজ্ঞরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বিহারে অবস্থিত টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের সাবেক অধ্যাপক পুষ্পেন্দ্র বলেন, এত বড় সিদ্ধান্ত এত গোপনে, কোনো পরামর্শ ছাড়াই নেওয়া ও প্রকাশ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
নথিপত্রের সমস্যা : বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বিহারের লাখ লাখ বৈধ ভোটার ইসিআই যে নথিপত্রগুলো চেয়েছে তা সরবরাহ করতে হিমশিম খাবেন। নির্বাচন কর্তৃপক্ষ আধার কার্ড বা ভোটার পরিচয়পত্র গ্রহণ করবে না, যা ঐতিহাসিকভাবে ভোট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। পরিবর্তে ভোটারদের জন্ম শংসাপত্র থেকে শুরু করে পাসপোর্ট, বন অধিকার শংসাপত্র বা রাজ্য কর্তৃক জারি করা শিক্ষা শংসাপত্রসহ ১১টি তালিকাভুক্ত নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে বিহারে সাক্ষরতার হার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন (৬২ শতাংশ) ও জন্ম নিবন্ধনের হারও কম (২৫ শতাংশ জন্ম নিবন্ধিত হয়নি), যা অনেককে নথি পেতে বাধা দেবে। শিক্ষাবিদ পুষ্পেন্দ্র বলেছেন, এই নথিগুলো বিতরণ করার ক্ষমতা রাজ্যের না থাকলে আপনি মানুষকে শাস্তি দিতে পারবেন না।
সময় নির্ধারণ : এই অনুশীলন বর্ষাকালে করা হচ্ছে, যখন বিহারে নিয়মিত বন্যা হয়। রাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ বন্যাপ্রবণ ও গত বছর ৪৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই বন্যাপ্রবণ অঞ্চলেই সঠিক নথিপত্রের সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে।
ভোটার তালিকাভুক্তির পদ্ধতির পরিবর্তন : এডিআর-এর ছোকর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ ভোটার তালিকাভুক্তির পদ্ধতিতে একটি মৌলিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। দেশের ৭০ বছরে কখনো ভোটদানের যোগ্যতার মানদণ্ড পরিবর্তন হয়নি-ভোটারদের সর্বদা তাদের জন্ম তারিখ প্রদান করার কথা ছিল।’ এই অনুশীলন এই মানদণ্ড পরিবর্তন করে বলে ভোটারদের এখন তাদের জন্মস্থানও প্রদান করতে হবে।
রাজনৈতিক তাৎপর্য : এনআরসি’র গোপন পথ?
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, অ-নথিভুক্ত অভিবাসীদের লক্ষ্য করে এই ইস্যুতে বিজেপির বাগাড়ম্বর প্রতিফলিত হয়। গত বছর সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর ও জোটে যোগ দিতে বাধ্য হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিজেপি অভিযোগ করেছে যে, ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের ব্যাপক স্রোত ভারতের জনসংখ্যার পরিবর্তন করেছে।
গত বছর ডিসেম্বরে দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় আইন শুধু ভারতীয় নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেয়। তবে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত না হওয়ার বিষয়ে কোনো প্রমাণ প্রকাশ না করেই নির্বাচন কমিশন এখন এই যুক্তি মেনে নিচ্ছে, যা অনেককে সন্দেহের মধ্যে ফেলেছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্বানন্দ বলেন, ইসিআই কেন এই সংশোধনের প্রয়োজন মনে করেছে তার কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। তাদের কাছে ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত অভিবাসীদের দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো তথ্য নেই। এজন্যই এটি আর কোনো সাংবিধানিক সংস্থার আমলাতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ অনুশীলন হিসেবে রয়েছে না। এর রাজনীতি খুবই সন্দেহজনক। বিজেপি তাদের পক্ষ থেকে এইl অনুশীলনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে ও এমনকি দেশের অন্যান্য অংশেও এটি চালু করার দাবি জানিয়েছে।
টিআইএসএস-এর সাবেক ডিন পুষ্পেন্দ্র বলেছেন, ঐতিহ্যগতভাবে প্রান্তিক সম্প্রদায় ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা এই ভোটার সংশোধন অভিযানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ তাদের কাছে পাসপোর্ট, শিক্ষাগত শংসাপত্র বা জন্ম নিবন্ধনের নথি রাখার সম্ভাবনা কম। এই সম্প্রদায়গুলো ঐতিহ্যগতভাবে সর্বদা বিরোধী আরজেডি ও কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে। এর সহজ অর্থ হলো, যদি তারা ভোট দিতে না পারে, তবে এটি বিজেপির জন্য একটি সুবিধা হবে।
গত কয়েক মাস ধরে, মোদি সরকার ও বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকার দেশে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। কমপক্ষে আটটি ভারতীয় রাজ্যে অবৈধ অভিবাসী হওয়ার অভিযোগে শত শত লোককে আটক করা হয়েছে।
এই অভিযান মূলত বাংলাভাষী মুসলিম অভিবাসীদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বন্দুকের মুখে হাজার হাজার বাংলাদেশিকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার ও তাড়াহুড়ো করে তাদের ফেরত পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রায়শই, এমনকি এই অভিযানে ভারতীয় মুসলিম নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অনেকের কাছে এটি মোদি সরকারের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তৈরির পরিকল্পনার কথা মনে করিয়ে দেয়, যা কোনো কাগজপত্র ছাড়াই অবস্থানরত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে পরে ফেরত পাঠাবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এনআরসি অনুশীলনের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে জোর দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রত্যেক অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হবে।
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কারণে এই ধরনের পদক্ষেপ মুসলিমদের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাব ফেলবে, যা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, ফারসি ও খ্রিস্টানদের দ্রুত নাগরিকত্ব প্রদান করে, কিন্তু মুসলমানদের তা থেকে বাদ দেয়। ২০১৯ সালে ভারতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত আইনগুলো গত বছর মার্চ মাসে মোদি সরকার কার্যকর করে, অমুসলিমদের কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করলে নির্বাসন ও জেল এড়াতে সাহায্য করবে। বিহারে মুসলিমরা রাজ্যের জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ ও রাজ্যজুড়ে তাদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৭৬ লক্ষ।

শিক্ষাবিদ অপূর্বানন্দ সরাসরি মন্তব্য করেছেন, বিহারের এই ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া আসলে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি)-এর মতোই। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ইসিআই (ভারতীয় নির্বাচন কমিশন) নাগরিকদের তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের দাবিতে প্রথম সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই সংশোধনের পরিণতি হবে ভয়াবহ। তাঁর আশঙ্কা, এর ফলে এমন একটি ভোটার তালিকা তৈরি হতে পারে, যেখানে রাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।