৭১তম ওভারের খেলা চলছি তখন। দিনের খেলা শেষ হতে বাকি ২১.২ ওভার, জিততে হলে এর মধ্যেই ভারতের বাকি ৪ উইকেট নিয়ে হবে অজিদের। বোলিংয়ে ছিলেন কামিন্স, আর ব্যাটিংয়ে ৮৪ রান করা জয়সোয়াল। অজি অধিনায়কের দেয়া এক বাউন্সারে ফাইন লেগে মারতে চেয়েছিলেন জয়সোয়াল, তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন তিনি, বল চলে যায় উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির কাছে।
তবে স্নিকোতে স্পাইক দেখা না গেলেও আউটের সিদ্ধান্তই নেন সৈকত। আর তার এই সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা। আউট হয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময়ই কিছু একটা বলতে দেখা যায় জয়সোয়ালকে। ভারতীয় দর্শকরাও এই এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন।
তবে সে সময় ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে থাকা সাবেক ক্রিকেটাররা সৈকতের সিদ্ধান্তকেই সঠিক বলেছেন। রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় আম্পায়ার চাইলে স্নিকো না-ও মানতে পারেন। সেই ক্ষমতা তাঁর আছে। তিনি দেখছেন বল গ্লাভসে লাগার পর দিক পরিবর্তন করেছে। তাই তিনি আউট দিয়েছেন। আমার মনে হয় সঠিক সিদ্ধান্ত।’
এদিকে রিকি পন্টিং বলেছেন, ‘তারা এটা নিয়ে যা খুশি তাইই বলতে পারে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ওটা (বল) তার হাতে লেগেছে। আর আমি তখনই খেয়াল করেছি জয়সওয়াল হাঁটতে শুরু করেছে। স্নিকো শতভাগ সঠিক বলে প্রমাণিত না, কিন্তু আম্পায়ার বলের দিক পরিবর্তন আমলে নিয়েছেন, আর ফ্রেম ঠিক সে সময় থামাতে পেরেছেন যখন বল গ্লাভসে লেগেছে।’