আজ শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এসব তথ্য জানান। খবর এনডিটিভির।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, এই ড্রোন হামলাগুলো শ্রীনগর থেকে শুরু করে জয়সলমীর ও পাঠানকোট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এমনকি লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহের বেস ক্যাম্প ও গুজরাটের কচ্ছ এলাকাতেও পাকিস্তানি ড্রোন দেখা গেছে, যে দুটি স্থানের দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার।
সোফিয়া কুরেশি আরও বলেন, ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোনের মধ্যে ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ৫০টি ভূপাতিত করেছে। এ ছাড়া ২০টি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামিংয়ের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, বেশিরভাগ ড্রোন ছিল নিরস্ত্র। সম্ভবত ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার চেষ্টা করছিল পাকিস্তান। তবে অনেক ড্রোনে ক্যামেরা লাগানো ছিল, যা পাকিস্তানের গ্রাউন্ড স্টেশনে ফুটেজ পাঠাতে পারত।
‘শত শত ড্রোনের এই হামলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করে কর্নেল কুরেশি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে (এলওসি) ছোট অস্ত্রের গুলি ও আর্টিলারি শেলিং অব্যাহত রয়েছে, যাতে একজন সেনা সদস্যসহ ১৬ জন ভারতীয় নিহত হয়েছেন।

জবাবে ভারতীয় সামরিক বাহিনীও পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার পাশাপাশি পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় করে ‘বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি’ করেছে বলে জানান কর্নেল কুরেশি। ভূপাতিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে পাকিস্তানকে ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত করার আরও প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে বলেও তিনি জানান। এই ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ পাঞ্জাবের অমৃতসরেও পাওয়া গেছে।
‘অপারেশন সিঁদুরের’ কয়েক ঘণ্টা পর থেকে পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রথম ঢেউ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ভারত জানায়, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দেশীয় প্রযুক্তিসহ বিদেশি প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত, যা ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোমের’ সমতুল্য এবং এই হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম।