ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আয়োজন হয় না প্রায় এক দশক হয়েছে। শুধু মাত্র আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টেই দুই দেশের খেলা দেখতে পারে সমর্থকরা। এদিকে আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এশিয়া কাপ খেলতে রোহিত শর্মারা পাকিস্তানে না গেলে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবেন না বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিরা। প্রথম দিকে এভাবেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল পিসিবি। তবে তাতে বিশেষ কাজ না হওয়ায় আরো কঠিন শর্ত দিতে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
এক দিনের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস চায় পিসিবি। নাজম শেঠিদের দাবি, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠানো হবে, এই মর্মে লিখিত আশ্বাস পেলে তবেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে দল পাঠাবেন তারা।
ভারতের অনড় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। পাকিস্তানের প্রস্তাব ছিল, ভারতীয় দলের ম্যাচগুলো হোক অন্য কোনো দেশে। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড তাতেও রাজি হয়নি। পুরো প্রতিযোগিতাই পাকিস্তান থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবিতে অনড় তারা। এর পরই বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন শর্ত নিয়ে আসে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে ভারত লিখিত আশ্বাস দিলেই এক মাত্র এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে বাবরদের পাঠানো হবে। আগামী ৮ মে এসিসির সভায় যোগ দিতে দুবাই যাবেন পিসিবি চেয়ারম্যান শেঠি। সেখানে এশিয়া কাপ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে চান তিনি। তাদের বিকল্প প্রস্তাব মানা না হলে শেঠি পরিষ্কার জানিয়ে দেবেন, পাকিস্তানই খেলবে না এশিয়া কাপ। অর্থাৎ, এশিয়া হয় পাকিস্তানেই হবে। না হলে পাকিস্তানকে ছাড়া এশিয়া কাপ করতে হবে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি তিনি পাকিস্তান সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেছেন। এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো লাহোর এবং দুবাইয়ে না হলে পিসিবির কী করণীয়, তা জানতে চান। ওই বৈঠকের পর এক দিনের বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন শর্ত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ শুরু হবে ৫ অক্টোবর থেকে। এক দিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হতে পারে আহমদাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায়। তার আগে সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা এশিয়া কাপ। এই দুই প্রতিযোগিতা নিয়ে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্মকর্তারা।