বৃহস্পতিবার সকালে ফের উদ্ধারকারী এনডিআরএফ টিম টানেলের ভেতরে প্রবেশ করেছে। গতকাল রাতে ধসের কারণে উদ্ধারের কাজ বন্ধ রাখা হয়। সেই সময় আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে মাত্র ১২ মিটার দূরে ছিল উদ্ধারকারী দল। আজ সকালে ফের কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর ধস নেমে টানেলের মধ্যে আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। ধসের পর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধারের কাজ। আনা হয়েছে বিদেশি যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞদের। ইতোমধ্যেই ৪৪ মিটার লম্বা একটি পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঢুকিয়ে শ্রমিকদের খাবার-ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যামেরা লাগিয়ে তাদের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকারী এনডিআরএফের ২১ জনের একটি টিম অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে টানেলে প্রবেশ করেছে।
জেজিলা টানেল প্রজেক্টের প্রধান জানিয়েছেন, সামনে খুব কম ধ্বংসস্তূপ থাকলেও সেখানে কিছু স্টিলের রড বেরিয়ে পড়েছে। ফলে সেগুলো কেটে রাস্তা করাই এখন প্রধান কাজ। ৪৪ মিটার পাইপ ঢোকানো হয়েছে। সামনে মাত্র ১২ মিটার বাকি রয়েছে।
টানা ১২ দিন টানেলে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। ভেতরের তাপমাত্রা ও টানা বন্দীদশায় তাদের অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল।
শ্রমিকদের কাছে পাইপ পৌঁছে গেলে সেই পাইপ ধরেই বেরিয়ে আসবেন শ্রমিকরা। তার আগে এনডিআএফের মেডিকেল টিম শ্রমিকদের দেখিয়ে দেবেন কীভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। সৌভাগ্যের বিষয় হলো যে জায়গায় শ্রমিকরা আটকে রয়েছে সেটি সাড়ে আট মিটার উঁচু ও দুই কিলোমিটার লম্বা। ফলে অক্সিজেনের সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে না।