ভারতে তোলপাড় করে দিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, পহেলা মে থেকে ১৮ বছর বয়সী সবাই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। সোমবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে রাজ্যগুলোর সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া দেশটির রাজ্যগুলো টিকা উৎপাদক সংস্থা থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত দামে খোলাবাজারেও ছাড়তে পারবে সেই ভ্যাকসিন। এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলোর কাছে। এর জেরে বাড়তি উৎপাদনের জন্য ভারতের দুই টিকা সংস্থাকে (সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক) ৪ হাজার ৫০০ কোটির ঋণ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
এতোদিন, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স ছিল ভারতে তারাই কেবল ভ্যাকসিন নিতে পেরেছিলেন। এবার নতুন প্রজন্মকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে নতুন প্রজন্মকে। সমীক্ষা বলছে, এবারে করোনার কবলে মুলত ১৫-৪৫ বছর বয়সীরা। এরই মধ্যে সুখবর যাদের বয়স ১৮ তারা মে মাসের ১ তারিখ থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, দেশটিতে মোট সংক্রমণের প্রায় ৭৯ শতাংশ শনাক্তকরণ মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান। একদিনে শনাক্ত ২ লাখ ৭৩ হাজারেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জনের। বর্তমানে ভারতের যে পরিস্থিতি তা কোনো দেশে এমন নয়। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে বেডের হাহাকার। মিলছে না পর্যাপ্ত করোনার ওষুধও।