নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিভি জানায়, ৮ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯টি ভারতীয় ড্রোন এবং রাত থেকে পরবর্তী সময়ে আরও ৪৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
পাকিস্তান ভারতীয় আগ্রাসনের ‘যথাযথ জবাব’ দিচ্ছে বলেও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারত এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের এই ব্যাপক সংখ্যক ড্রোন ভূপাতিতের দাবি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে, আকাশপথে এই উত্তেজনা উভয় দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতকে আরও এক নতুন মাত্রা দিয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের কারণ।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালী বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়্যবাকে সরাসরি দায়ী করে এবং অভিযোগ করে যে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে। যদিও ইসলামাবাদ বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পেহেলগাম হামলার বদলা নিতে ভারত ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ৯টি চিহ্নিত স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
ভারত দাবি করে, এই সুপরিকল্পিত হামলায় প্রায় ৭০ জন পাকিস্তানি নিহত হয়েছে। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয় যে, এই অভিযানে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির এবং তাদের লজিস্টিক কাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা ভারতের পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্ষতি স্বীকার করেনি।
ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের অন্তত ৩১ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং বহু লোক গুরুতর আহত হয়েছে।
এ ছাড়াও, ভারত ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উভয় দেশের সৈন্যদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি ও সংঘর্ষে ভারতের ১৩ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।