এদিকে ট্রফির কাছাকাছি এসেও ছিটকে যাওয়ায় ভারতীয়রা ছিল মর্মাহত। অন্যদিকে ভারতের হারে বাংলাদেশিদের একটি অংশ হন উচ্ছ্বাসিত। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ করেন উল্লাসে। এতে ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম থেকে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল মতামত। এর কারণ হিসেবে ভারত বিদ্বেষী মনোভাবকে দায়ী করেছিলেন অভিনেতা। এবার একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে মোশাররফ করিম।
উত্তরে মোশাররফ বলেন, আমি জানতাম এই প্রশ্নটা আমার কাছে আসবে। কিন্তু আমার মনে হয়, খেলা মাঠের মধ্যে থাকাই ভালো। খেলা খেলাই। এই জিনিসগুলোকে বিভিন্নভাবে উসকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেটা আসলে সুখকর মনে হয় না। এই বিষয়গুলোকে আমি খুব বড় করে দেখি না। এগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যায়। এগুলো তাৎক্ষণিক মস্তিষ্কের উত্তেজনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ভারতে আসার জন্যই প্রথম পাসপোর্ট করি। তখন আমার কৈশোর উত্তীর্ণ একটা সময়। বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ঢুকেই মনে হলো সেই একই দেশ। একই গাছপালা, একই খাল, একই সেতু, লোকজনের কথাবার্তার ধরনও এক।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এর আগে চঞ্চল চৌধুরী বলেছিলেন, খেলাকে আর মানুষ শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছে না। এটাই আমার খারাপ লাগার জায়গা। খেলাতে হার-জিত থাকেই, তবে সেটার ফলে এমন হিংসার ছবি প্রকাশ্যে আসা কাম্য নয়। বাংলাদেশে অনেক ভারত বিদ্বেষী আছে, এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। সে রাজনীতি হোক কিংবা খেলা। সবক্ষেত্রেই। এটা বাস্তব। সব দেশেই এমন থাকে। বাংলাদেশেও আছে।
তিনি আরও বলেছিলেন, তবে এটাই কিন্তু বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র নয়। এখানে এ রকম প্রচুর মানুষ ভারতের সিনেমা ভালোবাসে। মুক্তিযুদ্ধের অবদান মনে রাখে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক নয়, তাদের পরিবার পরম্পরায় পাকিস্তানের পক্ষে। আর যারা ভারতবিরোধী তাদের প্রত্যেকের কাছে জনে জনে গিয়ে তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, ভারতকে সাপোর্ট করো।
চঞ্চল আরও বলেছিলেন, একটা দেশে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ আছে। বাংলাদেশের বহু মানুষ এখনও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। অনেকে আবার সমর্থনও করে। আবার ভারত বনাম পাকিস্তান খেলা হলে, অনেকে পাকিস্তানকেও সমর্থন করে। এমন নয় যে, বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষই ভারত বিদ্বেষী। এটা তো রাজনীতি বা খেলা সবক্ষেত্রেই হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যারা ছিল, তারা হয়ত ভারত বিদ্বেষী। তাই এহেন আচরণ করেছে।