চীনের এ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। গতকাল শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে জসওয়াল বলেন, “জিনজিয়াংয়ের হোতানে আমরা দুটি নতুন কাউন্টি তৈরির ঘোষণা দেখেছি। এসব কথিত কাউন্টির কিছু ভারতের লাদাখে পড়েছে। আমরা কখনো এই অঞ্চলে চীনের অবৈধ দখলদারিত্বকে মেনে নেইনি।”
তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চলের ভৌগলিক অখণ্ডতা নিয়ে আমাদের যে অবস্থান, সেটি এসব কাউন্টি তৈরির মাধ্যমে পরিবর্তিত হবে না। একইসঙ্গে চীনের জোরপূর্বক দখলদারিত্বকেও বৈধতা দেবে না। আমরা কূটনৈতিক মাধ্যমে এটি গভীর নিন্দা জানিয়েছি।”
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং স্টেট কাউন্সিল নতুন দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে ভারতের নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং উই ২৩তম সীমান্ত আলোচনার বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। যা ২০২০ সাল থেকে থমকে ছিল। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল ভারত-চীনের সীমান্ত উত্তেজনা কমে আসবে। তবে ওই বৈঠকের পর ২৭ ডিসেম্বর ভারতের লাদাখের কিছু অংশ নিয়ে নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় চীন।