ভারত ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে । এর মাধ্যমে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় যুক্ত হলো নতুন পালক। ২৭ অক্টোবর বুধবার রাত পৌন ৮টার দিকে উড়িষ্যার এ পি জে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
অগ্নি-৫ নামের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম। সফলভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে পাকিস্তান ও চীনকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করছে দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
অগ্নি-৫ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রকে চলমান উৎক্ষেপণ যানের মাধ্যমেও উৎক্ষেপণ করা যাবে। সাড়ে ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ২ মিটার পরিধিবিশিষ্ট অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমকেও ধোকা দিতে সক্ষম। এ ছাড়া ১৫ হাজার কেজি পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রে তিন স্তরের রকেট বুস্টার আছে। এর গতি শব্দের চেয়ে ২৪ গুণ বেশি। সেকেন্ডে ৮ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
এত আধুনিক প্রযুক্তির কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারের শক্তিকে আরও বাড়িয়ে তুললো। একই সঙ্গে চীন এবং পাকিস্তানের কাছেও একটা কঠোর বার্তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করছে দেশটি। দাবি করা হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে পুরো এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার কিছু অংশ।
অগ্নি-১ থেকে ৫ এই পুরো সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ডিআরডিও। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। এখনও পর্যন্ত অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে অগ্নি-৫ এর পাল্লা সবচেয়ে বেশি। অগ্নি-১ এর পাল্লা ৭০০ কিমি, অগ্নি-২ এর পাল্লা ২ হাজার কিমি, অগ্নি-৩ এবং ৪ এর পাল্লা আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিমি। আর অগ্নি-৫ এর পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটার।