প্রায় ৮ বছর পর মাঠে গড়াচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তিনটি ভেন্যুতে (করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিণ্ডি) আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট চলার কথা। হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ খেলা ভারত পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে কি না, সেটা ছিল বড় প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই পাওয়া গেল। পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে নারাজ টিম ইন্ডিয়া। ব্যাপারটি জানিয়ে নাকি আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিসিসিআই
পিসিবি প্রধানের ভাষ্য, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পাকিস্তান অনেক ভাল নমনীয়তা দেখিয়েছে। তবে, সবসময় এমনটি হবে সেটিও আমরা আশা করি না।’ পিসিবি প্রধানের সঙ্গে শুরু মিলিয়ে আরও কঠিন অবস্থানে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফের। সেই সঙ্গে ভারত বয়কটের হুমকিও দিয়ে রাখলেন সাবেক এই অধিনায়ক।
রশিদ বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বা এশিয়া কাপ হলে, দলগুলিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভারত খেলতে চায় কি না। তবে এটি একটি আইসিসি ইভেন্ট। চক্রটি ২০২৪-২০৩১ সাল পর্যন্ত স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমস্ত সম্প্রচারকারী এবং স্পনসররা এই বিষয়ে স্বাক্ষর করেছেন যে দলগুলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বা বিশ্বকাপে অংশ নেবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি কোনো দল অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করে, তাহলে তাদের আহ্বানের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য তাদের একটি শক্ত কারণ থাকতে হবে। ঠিক যেমন ১৯৯৬ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়া শ্রীলংকায় যায়নি কিন্তু পরে ফাইনালে পৌঁছেছিল। আপনি যদি নিরাপত্তার কারণ দেখান, তাহলে এটা সঠিক নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো পাকিস্তানে আসছে
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলতে পারি যে ভারত দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ খেলতে চায় না, তবে আপনি আইসিসি ইভেন্টগুলিকে অস্বীকার করতে পারবেন না কারণ আপনি ইতিমধ্যে এটিতে স্বাক্ষর করেছেন। ভারতকে শক্ত কারণ দেখাতে হবে। ভারত যদি এই সময় না আসে, তবে পাকিস্তান টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করে একটি বড় পদক্ষেপ নেবে।’