স্বাভাবিকভাবেই তাদের বয়সের পার্থক্য ছিল প্রায় ২৬ বছর। বয়সের এই বিরাট পার্থক্য কখনোই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাদের সম্পর্কে। কারণ টলিউডের জনপ্রিয় এই দম্পতির প্রেমের শুরু সেই ১৯৯৭ সালে। এরপর প্রায় ২২ বছরের সম্পর্কে ছিলেন দু’জনে।
যদিও এখন দীপঙ্করের বয়স হয়েছে ৭৯ বছর। আগের মতো চাঞ্চল্যতা নেই অভিনেতার। সেটার প্রভাব কী পরে তাদের সম্পর্কে? সম্প্রতি ভারতীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন দোলন রায়।
যেখানে উঠে এসেছে দাম্পত্য জীবনে তাদের ‘শারীরিক সম্পর্কের’ বিষয়টিও। আলাপচারিতার শুরুতে সঞ্চালক দোলনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমাদের প্রেমের খবর সারা দুনিয়া জানে। কিন্তু তোমাদের বয়সের ব্যবধানও অনেক। প্রেম থাকার পরও তোমার কোথাও একটা সমস্যা হয় না?
জবাবে দোলন রায় বলেন, ‘শারীরিক সম্পর্কের কথা বলতে চাচ্ছো! একটা সময় পর্যন্ত আমাদের সবকিছু ঠিকই ছিল। তারপর যা হয়, তাই হয়েছে। মেয়েরাই তো এই কম্প্রোমাইজটা করে। তুমি একজন মেয়ে হয়ে তা বুঝতেই পারছো! মেয়েরা যদি এই ছাড়টা না দেয় তাহলে তো একটা অশান্তি শুরু হবে।’
ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বলা যায়, আমার জীবনে ও (দীপঙ্কর) প্রথম। আমি আমার জায়গা থেকে স্যাচুরেটেড হয়ে গেছি, ও ওর পারা না পারা নিয়ে স্যাচুরেটেড হয়ে গেছে। তারপর কিছুটা কম্প্রোমাইজ, কিছুটা মানিয়ে নেওয়া। তবে ওর ভালোবাসা, আমার যত্ন নেওয়া অনেক বেশি। আসলে আমি ছোটবেলা থেকেই আপস করে বড় হয়েছি। সেটা পারিবারিক, অর্থনৈতিকভাবে করেছি। সুতরাং এটা আমার জীবনেরই অংশ হয়ে গিয়েছে। আবার এই কম্প্রোমাইজটাকে নেতিবাচকভাবে নিও না। আমার কম্প্রোমাইজটা মানুষকে ভালো রাখার জন্য।’
প্রেম, লিভ ইন, বিয়ে- প্রায় ২৭ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন টলিউডের এই তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী। বয়স নিয়ে যতোই সমালোচনা হয়েছে, প্রতিবারই নাকি বিষয়গুলো ঠান্ডা মাথায় সামলে নিয়েছেন দীপঙ্কর। স্বামী সম্পর্কে দোলন জানান, সে খুবই ঠান্ডা মেজাজের একজন মানুষ। ভীষণ খাদ্যরসিক। স্পাইসি খাবার খেতে ভালোবাসেন। তবে তার স্বাস্থ্যর দিকে খেয়াল রেখেই রান্না করতে হয় আমাকে।
সবকিছু উপেক্ষা করে প্রবীণ দীপঙ্করকে নিয়ে সংসার করছেন দোলন রায়। কিন্তু সন্তানের মা হতে না পারায় আক্ষেপ রয়ে গেছে এই অভিনেত্রীর। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, জানেন তো, মা হতে পারলাম না। প্রথম-প্রথম মানতে, মানিয়ে নিতে খু-উব কষ্ট হতো। শুরুর দিকে এই অভাবটা আমার সত্যিই ছিল। ‘মা’ ডাকের অপূর্ণতা আমার জীবনে মস্ত বড় অপূর্ণতা বলতে পারেন।