একের পর এক ইস্যুতে খবরের শিরোনাম হচ্ছে লিওনেল মেসির ক্লাব পিএসজি। মাঠ ও মাঠের বাইরের ঘটনায় ফরাসি ক্লাবটির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা বিতর্ক তৈরি করে চলেছেন। এবার এমনই এক গুরুতর অভিযোগে উঠেছে পিএসজি মালিক নাসের আল খেলাইফির বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগ পুরনো হলেও, তার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যা প্রমাণিত হলে বড় ধরণের শাস্তিই পেতে পারেন এই কাতারি ধনকুবের।
এর আগে ২০২০ সালে খেলাইফির বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ফ্রাঙ্কো–আলজেরিয়ান বংশোদ্ভুত ‘লবিস্ট’ তায়েব বেনাবদেরামানে ওই অভিযোগ করেন। এমনকি অভিযোগের বিষয়ে তার কাছে যথেষ্ট নথি ও তথ্য-প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে বেনাবদেরামানে খেলাইফির যৌন মিলনের ভিডিও সংরক্ষিত থাকার কথা দাবি করেছেন।
ফরাসি রেডিও ‘ফ্রান্স ইন্টার’–এর বরাত দিয়ে ‘টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, খেলাইফির স্মার্টফোন তায়েব বেনাবদেরামানের কাছে ছিল। এর পাশাপাশি খেলাইফির বিরুদ্ধে যায় এমন নথিপত্র এবং তার যৌন মিলনের ভিডিও ছিল তার কাছে। সেসব নথিপত্রগুলো কাতারের ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজন করার স্বত্ত্ব পাওয়া নিয়ে।
অভিযোগটি উত্থাপনের পর কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে ওঠা বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে। সে সময় কাতার অনৈতিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, ২০২৬ এবং ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রচারের স্বত্ব পিএসজি সভাপতির ‘বিইন টেলিভিশন’ পাওয়ার পেছনেও স্বচ্ছতা ছিল না। এই দুই অনিয়ম সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বেনাবদেরামানের কাছে আছে বলেও তার দাবি। তিনি বলেছিলেন, খেলাইফির এক বিশ্বস্ত কর্মীর কাছ থেকেই নথিগুলি পেয়েছিলেন।
এদিকে, গত বছর খেলাইফির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আদালত খারিজ করে দেন। তবে সেই বিষয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে তিন ফরাসি বিচারকের অধীনে। অভিযোগকারী ফ্রান্সের নাগরিক হওয়ায় তার সেই অভিযোগ তদন্ত করবেন তারা।
অন্যদিকে, খেলাইফি অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টিকে সাজানো ও মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন খেলাইফি, ‘সবাই একজন পেশাদার অপরাধীকে নিয়ে কথা বলছেন। ওরা যতবার নতুন করে ঘটনাটা সাজিয়েছে এবং মিথ্যা বলেছে তারচেয়ে বেশি আইনজীবী পরিবর্তন করেছে। তাদের এই মিথ্যা দাবি মানুষ বিশ্বাস করছে দেখে অবাক লাগছে। যদিও আমরা সংবাদমাধ্যম প্রভাবিত বিশ্বেই বসবাস করি। আইন নিজের পথে চলবে। এ ধরনের অপরাধীদের নিয়ে কথা বলার মতো সময় আমার নেই।’