যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একমাত্র সচল ইউনিটও বন্ধ হয়ে গেছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যে অচিরেই উৎপাদনে যেতে পারবে, সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে আভাস মিলেছে কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকের কথায়। তিনি বলেন, “একটি টারবাইন চালাতে দুইটা ইলেকট্রো হাইড্রলিক ওয়েল পাম্প লাগে। ২০২২ সালে একটি ইলেকট্রো হাইড্রলিক ওয়েল পাম্প নষ্ট হয়ে যায়।
কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট করে। এর মধ্যে ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ আছে ২০২০ সালের শেষভাগ থেকে। আর ১ নম্বর ইউনিটে বর্তমানে সংস্কার কাজ চলমান আছে।
সোমবার বন্ধ হওয়া তৃতীয় ইউনিটের সক্ষমতা ২৭৪ মেগাওয়াট হলেও সেটি ১৯০ থেকে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর বলেন, “ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ বছরের চুক্তি আছে যে, তারা সব খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করবে।
“কিন্তু গত ৪ বছরে একটি যন্ত্রাংশও সরবরাহ করেনি। তাদের বারবার চিঠি দিয়েও কোন সাড়া মেলেনি। চুক্তি থাকার কারণে ওই খুচরা যন্ত্রাংশ কিনতে পারছি না।”
“বাংলাদেশে এই যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না, ফলে তা কেনাও যাচ্ছে না। এতে করে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব না।”