বিকাশমান অর্থনীতির দেশের জোট ব্রিকসে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলে বাংলাদেশ জোটটিকে অনেক কিছু দেওয়ার সক্ষমতা রাখে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মস্কোর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ জুন) ব্রিকসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সভাপতিত্বে দেশটির নিঝনি নোভগ্রোদ শহরে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনের বৈঠকের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার।
এ দিন দীপু মনি তার বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত দেড় দশকে অর্জিত উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী প্রধানত কৃষিভিত্তিক দেশ থেকে বাংলাদেশ কীভাবে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসেবে নিজেকে রূপান্তরিত করেছে, তা তুলে ধরেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে দীপু মনি ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ দেশের প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করছে। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তার বিবৃতিতে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের কাছে ব্রিকসকে দেওয়ার মতো অনেক কিছু রয়েছে।
দীপু মনি ব্রিকস দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগামী দিনে আরও গভীর হবে এবং এ জোটে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সহযোগিতার একটি নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রিকসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ১ জুন বৈঠকে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লেখেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হজে যাওয়ার তারিখ আগে চূড়ান্ত হওয়ায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে মস্কোতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে পাঠানো হয়।
অনেক দিন ধরে ব্রিকসে যুক্ত হওয়ার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সবশেষ ব্রিকসের দক্ষিণ আফ্রিকা সম্মেলনে বাংলাদেশ জোটটিতে যুক্ত হচ্ছে এমন খবর চাউর হয়। তবে শেষ অবধি ব্রিকসে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আপাতত নতুন সদস্য নিতে রাজি নয় ব্রিকস। তবে অংশীদার রাষ্ট্র যুক্ত করতে চায় ব্রিকস। যার ফলে ব্রিকসে বাংলাদেশের যুক্ত হতে আরও অপেক্ষা বেড়েছে।