ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ব্রাজিলে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন দেশটির আইনজীবীরা। তাদের মধ্যে ৭ জন পেশাদার ফুটবলারও রয়েছেন। ২০১৮ সালে দেশটিতে খেলাধুলায় জুয়াকে বৈধ করার পর এটিকেই সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ ‘এ ও ‘বি’র মোট ১৩টি ম্যাচ পাতানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন আইনজীবীরা। এর মধ্যে ৮টি ম্যাচ ২০২২ সালের। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন সান্তোস, য়্যুভেন্তুদে ও কুইয়াবার মতো ক্লাবের খেলোয়াড়রাও। যাদের মধ্যে পাঁচজনকে গতকাল নিষিদ্ধ করেছে তাদের ক্লাব।
নিষিদ্ধ খেলোয়াড়রা হলেন-পেদ্রিনিও (আতলেতিকো মিনেইরো), ব্রায়ান গার্সিয়া (আতলেটিকো মিনেইরো), রিচার্ড (ক্রুজেইরো), ভিতর মেন্দেজ (ফ্লুমিন্সে) ও নিনো পারাইবা (আমেরিকা)। অভিযুক্ত খেলোয়াড়রা দোষী প্রমাণিত হলে ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’ পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আজীবন নিষেধাজ্ঞার শঙ্কাও থাকছে।
এদিকে, নথি প্রকাশের পর ব্রাজিলের বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও দিনো ফেডারেল পুলিশকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, একটি অপরাধী চক্র ম্যাচ পাতানোর জন্য খেলোয়াড়দের টাকা দিয়েছে। খেলোয়াড়দের যেভাবে বলে দেওয়া হয়, মাঠে তারা সেভাবে কাজ করেন এবং সে ম্যাচগুলোর ওপর বাজি ধরে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
আইনজীবীরা আরও দাবি করেন, খেলোয়াড়দের পাতানো খেলায় রাজি করতে শুধু দেখা করার সময়ই তাদের হাতে প্রায় ১ লাখ ডলার তুলে দেওয়া হয়।