ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে কদাচিৎই খেলতে দেখা যায় ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। গেল বিশ্বকাপের পর থেকে যেমন ব্রাজিল কোনো ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়নি একবারও, আর্জেন্টিনা খেলেছে এক ম্যাচ জার্মানির বিপক্ষে।
ইউরোপীয় ও লাতিন আমেরিকান দলগুলোকে নিয়মিত মুখোমুখি হতে দেখার সে অপেক্ষা এবার ঘুচল বলে। ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা আর কনমেবল একসঙ্গে মিলে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে সম্প্রতি। তার অংশ হিসেবেই এবার দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোকে দেখা যাবে ইউরোপের উয়েফা নেশন্স লিগে। ফলে মেসি-নেইমারের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলকে এবার নিয়মিতই লড়তে দেখা যাবে ফ্রান্স-জার্মানির মতো দলগুলোর বিপক্ষে।
উয়েফা সহ-সভাপতি জ্বিগনেভ বনইয়েক জানিয়েছেন বিষয়টি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, বছর দুয়েক আগে পথচলা শুরু করা এই টুর্নামেন্ট শিগগিরই দক্ষিণ আমেরিকার দশ দলকে নিয়ে পরিসর বাড়াবে নিজেদের। শেষ কয়েক দিনে প্রতি দুই বছরে এক বিশ্বকাপ আয়োজনের তোড়জোড় চালাচ্ছে ফিফা, আসছে সোমবারে এ নিয়ে আরও এক আলোচনায় বসবে ফুটবলের সর্বোচ্চ এই সংস্থা। উয়েফা-কনমেবলের এই পদক্ষেপকে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম দেখছে সেটা ঠেকানোর একটা চেষ্টা হিসেবেই।
বনইয়েক বলেন, ‘চলতি ফরম্যাটে এটাই উয়েফা নেশন্স লিগের শেষ আসর। কনমেবলের সঙ্গে আমরা একটা বৈঠকে বসেছিলাম। ২০২৪ এর পর থেকে সেই মহাদেশের দলগুলোও এই টুর্নামেন্টে যোগ দেবে।’
তবে লাতিন দলগুলো যোগ দিলে কী ফরম্যাটে খেলা হবে নেশন্স লিগ, সেটা এখনো ঠিক হয়নি, জানালেন উয়েফা সহসভাপতি। বললেন, ‘কোন ফরম্যাটে এটা খেলা হবে, আমরা এখনো কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় দলগুলোর খেলার সূচি খুবই ঠাসবুনটের, যে কারণে আপনি খুব বেশি পরিবর্তন আনতে পারবেন না।’
সে কারণেই ২০২৪ এর পর প্রথম আসরে দক্ষিণ আমেরিকান দলের সংখ্যা থাকবে ছয়, ইঙ্গিত দিলেন বনইয়েক। সেক্ষেত্রে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সঙ্গে প্রথম আসরে দেখা যাবে কলম্বিয়া, পেরু, চিলি, উরুগুয়ের মতো দলগুলোকে; তাদের খেলতে দেখা যাবে স্পেন, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, পর্তুগাল ও ইতালির মতো দলগুলোর বিপক্ষে। নেশন্স লিগ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের জায়গা দখল করে নেওয়ায় গেল বিশ্বকাপের পর থেকে দেখা যায়নি যেটা।