ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়া ক্লাব বিশ্বকাপ জিতল চেলসি। এই জয়ের জন্য রীতিমতো ঘাম ছুটাতে হয়েছে চেলসির। অতিরিক্ত সময়ে জয় পেয়েছে তারা। নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ গোলে সমতায় ছিল দুই দল। ১১৭ মিনিটে পাই সেই কাঙ্ক্ষিত জয় চেলসি। যার গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ক্লাব বিশ্বকাপে গিয়েছিল দলটি, সেই কাই হ্যাভার্টজের গোলেই নিশ্চিত হয় বিশ্বকাপের শিরোপা। ইউরোপসেরা থেকে চেলসি বনে গেল বিশ্বসেরা।
আবুধাবির মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামের ফাইনালে লুকাকু আলো কেড়ে নেন। ৫৫ মিনিটে তার গোলই লিড এনে দেয় চেলসিকে। এর আগে প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করেও গোলের দেখা পায়নি ব্লুজরা। লুকাকুর গোলে এগিয়ে যাওয়া কোচ থমাস টুখেলের দল অবশ্য সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ৬৪ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাস। নির্ধারিত সময়ে দারুণ লড়াই হলেও গোলের মুখ দেখেনি দুই দলের কেউই। ফলে খেলা গড়ায় যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে।
যোগ করা সময়েও গোল হচ্ছিল না। সময় যত গড়াচ্ছিল চেলসির উৎকণ্ঠাও বাড়ছিল পাল্লা দিয়ে। শেষমেশ ১১৭ মিনিটে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় হ্যান্ডবলের কল্যাণে পেনাল্টি পায় চেলসি। বল তুলে দেয়া হয় দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নায়ক হ্যাভার্টজের হাতে। তিনি গোল করতে কোনো ভুল করেননি। তাতেই চেলসির শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়।
মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নদের এই টুর্নামেন্টের শিরোপাটা সবচেয়ে বেশি উঠেছে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের হাতেই। এ নিয়ে টানা নবমবার কোনো ইউরোপীয় দল জিতল এই শিরোপা। শেষবার ইউরোপ বাদে অন্য কেউ এই শিরোপা জিতেছিল ২০১২ সালে। সেবার হতভাগ্য দলটা ছিল এই চেলসিই। কাকতালীয়ভাবে ব্রাজিলিয়ান এক দলের কাছেই হেরেছিল দলটি। সেবার ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ান্সের কাছে হেরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় চেলসির। আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাবকে হারিয়ে সেই হারের দুঃখটাই যেন ভুলল কোচ থমাস টুখেল।