আগামী ৩ দিনের (৭২ ঘণ্টায়) মধ্যে ব্ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদীর পানি বাড়তে পারে। সোমবার (১১ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ-নদী পরিস্থিতি এবং বন্যা সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়ায় সই করা প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় ও তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম এবং অরুণাচলে গত ১ থেকে ৯ এপ্রিল মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তীসময়ে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশে বৃষ্টিপাত কমে আসায় উক্ত অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে পরবর্তীতে ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কমে পরবর্তীতে ভারি বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে ১২০ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে। একই সঙ্গে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
তিস্তা আববাহিকা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকায় ও তৎসংলগ্ন ভারতের দার্জিলিং, সিকিম ও হিমালয় পাদদেশীয় অংশে গত ১ থেকে ৯ এপ্রিল মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তীসময়ে তিস্তা নদীর অববাহিকার বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশে বৃষ্টিপাত কমে আসায় এ অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য মতে, তিস্তা অববাহিকার উজানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তিস্তা নদীর পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘন্টায় কমে পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পাউবো।