দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫৩ মিনিটে উত্তর কোরিয়া একটি মধ্য-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের একটি এলাকা থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ শনাক্ত করা হয়েছে। পরে সেটি উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় সাগরে অবতরণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, সাগড়ে পড়ার আগে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উড়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় সাড়ে ৬০০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে সাগরে পড়েছে বলে ধারণা করছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠিক কোন ধাঁচের অথবা সেটি কোন ধরনের ওয়ারহেড বহন করতে পারে, সেই বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কোনও তথ্য জানাতে পারেননি। তবে উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি একটি নতুন ধাঁচের মধ্য-পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সলিড ফুয়েল ইঞ্জিনে পরিচালিত।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের মুখ্যপাত্র লি সুং-জুন বলেছে, সাম্প্রতিক একটি সলিড ফুয়েল ইঞ্জিনের পরীক্ষার সাথে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত মার্চে সলিড ফুয়েল ইঞ্জিনে পরিচালিত নতুন ধাঁচের একটি মধ্য-পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই উৎক্ষেপণকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর বলে নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে মার্কিন সৈন্য অথবা মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক বিপদ ডেকে আনেনি। তবে বেআইনি এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী এই কাজের নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।