প্রথম চার ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা তাই কেবল ‘হোয়াইট ওয়াশ’ উপলক্ষ। আজ সিকান্দার রাজাদের হারাতে পারলেই টি-টোয়েন্টিতে আরো একবার ধবলধোলাইয়ের কীর্তি গড়বে টাইগাররা। তবে এমন ম্যাচে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে মিডেল অর্ডারের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ পায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটিং তান্ডবে ৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধস নামে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে টাইগারদের। পুল করতে গিয়ে আউট হন তানজিদ। তানজিদের পর সৌম্য, ৩ ওভার শেষ না হতেই দুই ওপেনার হারায় টাইগাররা। ব্রায়ান বেনেটের শর্ট লেংথের বল কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছেন সৌম্য সরকার। তানজিদ, সৌম্যর পর হৃদয়ও কাট করতে গিয়ে হয়েছেন কট বিহাইন্ড।
এরপর মাহমুদউল্লাহর পাল্টা আক্রমণ। নাজমুল ও সাকিবের সঙ্গে জুটি। শেষে জাকের আলীর ঝড়। শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গতিপথটা এমন। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নাজমুলকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ গড়েন ৬৯ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটির পরপরই থামেন। তার আগে সাকিবকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩৯ রান।
সাকিবের পর মাহমুদউল্লাহ দ্রুত ফেরায় শেষ দিকেও ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে অবশ্য ১৫০ পেরিয়ে ভালো একটা সংগ্রহই পেয়েছে স্বাগতিকেরা।