করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলছে তিন দিনের সীমিত লকডাউন। এ সময়ে গণপরিবহন বন্ধসহ বেশ কিছু নতুন শর্ত দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে এবং বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিন সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার।
সীমিত লকডাউনের প্রথমদিন সোমবার (২৮ জুন) রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। তবে গ্রাহক উপস্থিতি কিছুটা কম। ব্যাংকাররা বলছেন, সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। লেনদেনও স্বাভাবিক। তবে টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে উত্তোলনের হার বেশি।
বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান, আজকে স্বাভাবিক দিনের মতোই লেনদেন হচ্ছে। অন্যান্য দিনের মতো গ্রাহক আসছে। তবে টাকা উত্তোলন বেশি করছেন গ্রাহকরা। কারণ সাধারণ মানুষ টাকা তুলে রাখছে, তারা অনেকেই জানেন না লকডাউনে ব্যাংকিং কার্যক্রমে কী অবস্থা থাকবে।
এক্সিম ব্যাংকে আশা সাব্বির নামের এক গ্রাহক জানান, অফিসের একটা চেক ছিল ভাঙাতে এসেছি। আজকে অন্যান্য দিনের চেয়ে ভিড় কম। আসার পর খুব অল্প সময়ে কাজ হয়ে গেছে। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে গিয়ে দেখা যায় গ্রাহকের ভিড় কম। নেই দীর্ঘ লাইন। স্বাভাবিক লেনদেন হচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্যাংকের লোকাল অফিসের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, লকডাউনের খবরে গতকাল ব্যাংকে অনেক ভিড় ছিল। অনেকেই প্রয়োজনীয় লেনদেন সেরেছেন। তাই আজকে তেমন ভিড় নেই। স্বাভাবিক লেনদেন চলছে। সকাল দিকে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক একটু বেশি ছিল তাও স্বাভাবিক বলা যায়।
তিনি বলেন, সীমিত পরিসরে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। গণপরিবহন বন্ধ। যে কারণে অনেকেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আসেননি। আগামী তিনদিন এমনই থাকতে পারে বলে মনে করছেন এ ব্যাংক কর্মকর্তা। জানা গেছে, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন কার্যকর করবে সরকার। আর বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের জন্য পুরোপুরি লকডাউন থাকবে দেশ।
লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে।
চলমান বিধিনিষেধে সীমিত পরিসরে ব্যাংক চলছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হচ্ছে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আগামী বৃহস্পতিবার ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ব্যাংকের নতুন সময় সূচি আসতে পারে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।