ব্যাংক ঋণের অনুমোদন বা নবায়নে সব ধরনের তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনার ফলে ঋণ নবায়নের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও নতুন ঋণের ফাইল যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
ব্যাংক ঋণ নবায়নের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও নতুন ঋণের ফাইল নিয়মনীতি মেনে সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) দেওয়া ঋণ নবায়ন ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সংরক্ষণের নির্দেশনার সময় দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণ ফাইলে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছিল।
নতুন এ নির্দেশনার ফলে আগামী ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণের সকল ফাইল সংরক্ষণ করতে হবে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিএমএসএমই সেক্টরের কটেজ, মাইক্রো এবং ক্ষুদ্র সাব-সেক্টরের যেসব প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে সেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ অনুমোদন বা নবায়নের সময় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কর্তৃক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রণীত সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষা রিপোর্ট গ্রহণ করে তা বাধ্যতামূলকভাবে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যথাযথভাবে ঋণ ফাইলে সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।