তবে ইউনূসের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হবে না বলে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে তিনটি সূত্র। এ কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন সদস্য প্রতিদিনই ভারতের সমালোচনা করেন। এতে করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নেই। এমন অবস্থায় দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠক আয়োজন সম্ভব নয়।
একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, “সম্মেলনে যেহেতু বিশ্ব নেতারা একাধিকবার একে-অপরের সামনে আসবেন। তখন হয়ত (ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে) কথাবার্তা হলেও হতে পারে। কিন্তু এর বেশি কিছু প্রত্যাশা করা হচ্ছে না।”
অপর সূত্রটি বলেছেন, “আনুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজন কঠিন মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার কাছ থেকে প্রতিদিনই ভারতের বিরুদ্ধে নতুন সমালোচনা আসছে। এসব বিষয় বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়।”
এদিকে ২ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত হবে বিমসটেকের এ সম্মেলন। এতে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নেবে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। এবারের বিমসটেক সম্মেলনটি এমন সময় হচ্ছে যখন বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে।
বিশেষ করে সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া এবং সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তোলায় দিল্লির সঙ্গে ঢাকার তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়। গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলেও এখনো তাকে ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো জবাব দেয়নি ভারত। যা সম্পর্কে আরও প্রভাব ফেলেছে।
মোদির সঙ্গে বৈঠক হলে ড. ইউনূস হাসিনা প্রসঙ্গসহ অন্যান্য বিষয়গুলো উত্থাপন করতে পারেন, এ কারণে মোদি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করতে চান না বলে মন্তব্য করেছিলেন এক ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক।