মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া প্রান্তের ৫নং ঘাটের অদূরে নয়টি ট্রাক নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি ‘রজনীগন্ধা-৭’কে এখন পর্যন্ত তুলতে পারেনি উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা-রুস্তম-প্রত্যয়।
ফেরিডুবির পাঁচ দিনেও খোঁজ মেলেনি ফেরির ইঞ্জিনচালক হুমায়ুন কবিরেরও। এমন অবস্থায় এবার রজনীগন্ধাকে উদ্ধারের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে আসছে ঝিনাই-১
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে ঘন কুয়াশা ও তীব্র বাতাসের কারণে এখনও উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। কখন ঝিনাই-১ আসবেন সেই অপেক্ষায় আছেন সবাই।
ঘনকুয়াশার কারণে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নদীতে নোঙ্গর করে রাখা ছিল ফেরি রজনীগন্ধা। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘাটের কাছাকাছি আসার পর নয়টি ট্রাক নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। এরপর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা গিয়ে মালবোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান ও একটি মালবাহী ট্রাক উদ্ধার করে। আর গত বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে একটি মালবোঝাই ট্রাক উদ্ধার করে আরেক জাহাজ রুস্তম।
ডুবে যাওয়া ফেরিটির আনুমানিক ওজন ২শ থেকে ২২০ টন হওয়ায় নৌযানটিকে উদ্ধার করতে পারেনি ১৩০ থেকে ১৩৫ টন সক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ হামজা ও রুস্তম। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে আনা হয় ৩০০ টন সক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ প্রত্যয়।
গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করে প্রত্যয়। ডুবে থাকা রজনীগন্ধার নিচ দিয়ে লিফটিং পদ্ধতিতে সলিং ওয়্যার টানার কাজ করে প্রত্যয়। বিকেল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা সলিংয়ের কাজ করে। কিন্তু প্রত্যয়ের একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব না জানিয়ে ঝিনাই-১ কে আনার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা জানান, ‘উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝিনাই-১ আসছে। এই জাহাজটি এসে পৌঁছালেই ডুবে থাকা ফেরিটি উত্তোলনের মূল কাজে যাবে বিআইডব্লিউটিএ।’
আরিফ আহমেদ বলেন, ‘হামজা-রুস্তম এত বড় লোড নিতে পারবে না বলে তারা কোনো কাজ করছে না। তবে বড় জাহাজ ঝিনাই-১ এলে সম্মিলিতভাবে ডুবে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা তোলার কাজ করবে।’