ব্যবহৃত ফ্ল্যাট হস্তান্তরে ভ্যাট দিতে হবে। বিষয়টি স্পষ্টীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (মূসক আইন ও বিধি) কাজী রেজাউল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকাকে (দক্ষিণ) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রীয় পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, সূত্রোক্ত পত্রের মাধ্যমে দলিল পুনঃরেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূসক আদায়ের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিষয়টি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর তৃতীয় তফসিলের অনুচ্ছেদ ৩-এ উল্লেখ আছে, ভূমি উন্নয়ন সংস্থার ক্ষেত্রে মূসকের হার হবে ২ শতাংশ ও ভবন বিক্রয় বা হস্তান্তরে নিয়োজিত ভবন নির্মাণ সংস্থার ক্ষেত্রে মূসকের হার হবে যথাক্রমে ১-১৬০০ বর্গফুটের জন্য ২ শতাংশ, ১৬০১ বর্গফুট থেকে অনূর্ধ্ব সাইজের ক্ষেত্রে ৪.৫ শতাংশ এবং যে কোনো সাইজের পুনঃরেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ।
সুতরাং ভবন পুনঃরেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যক্তি/সংস্থা অর্থাৎ সবার জন্যই ২ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য হবে এবং উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও আদায় বিধিমালা, ২০২১-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (২) এ বর্ণিত টেবিলের ক্রমিক নং-১০ অনুযায়ী ভবন পুনঃরেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ মূসক উৎসে কর্তন করতে হবে। 081 বর্ণিতাবস্থায় মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক জারি করা প্রজ্ঞাপন এসআরও নং-১৮৬-আইন/২০১৯/৪৩-মূসক:তারিখ-১৩ জুন, ২০১৯ এবং উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও আদায় বিধিমালা, ২০২১ অনুযায়ী ব্যক্তি/সংস্থা অর্থাৎ সবার জন্যই ভবন পুনঃরেজিস্ট্রেশনের সময় ২ শতাংশ হারে মূসক প্রযোজ্য হবে এবং উৎসে কর্তন করতে হবে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে যথাযথ মূসক আদায় নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।